কোচবিহারের দিনহাটা। উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক জেলার গ্রাম। কলকাতা থেকে দূরত্ব প্রায় ৭০০ কিমি। সেই দিনহাটা থেকেই মাধ্যমিকে সবার নজর কাড়ল প্রত্যুষা বর্মন। দিদি প্রেরণা বর্মন গতবার উচ্চমাধ্যমিকে দশম স্থান অর্জন করেছিল। আর এবার মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় অষ্টম স্থানে🃏 রয়েছে যে নাম সে আর কেউ নয় প্রত্যু♋ষা বর্মন। প্রেরণার একমাত্র বোন।
মা বাবা দুজনেই স্কুলে শিক্ষকতা করেন। বাড়িতে বরাবরই পড়াশোনার পরিবেশ রয়েছে। আসলে দিদির সাফল্যের পর থেকেই মাধ্যমিকের মেধা তালিকাকে পাখির চোখ করে ফেলেছিল প্রত্যুষা। আর তাতেই ধরা দিয়েছে সাফল্য।
প্রত্যুষা বলেন, একটা আশা ছিল। কিন্তু যখ🔴ন টিভিতে বলল কোচবিহারে মাত্র তিনজন তখন একটু আশাহত হয়েছিলাম। তারপর জানতে পারলাম আমি অষ্টম হয়েছি। ভবিষ্যতে পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছা আছে। পড়াশোনা ওই সাত আট ঘণ্টা হয়ে যেত। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ, গান করতাম। ছবি আঁকতাম। দিদি আমার অনুপ্রেরণা। ছোট থেকেই দিদি আমাকে সবসময় সাহায্য করেছে। দিদিই তো উচ্চমাধ্যমিকে দশম হয়েছিল।
প্রত্যুষার মা বলেন, দুই মেয়ে পেয়েছে আমি খুব খুশি। ছোটটা না পেলে খুব খারাপ লাগত। ব꧒রাবরেই দু বোনের মধ্য়ে খুব মিল। যেটুুকু পড়ত খুব মন দিয়ে পড়ত। ছোট বোনের পড়ার ধরণটা একটু আলাদা। তবে দুজনেই পড়াশোনা করত।
বাবা তরণীকান্ত বর্মন বলেন, বড় মেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে দশম হয়েছিল। ছোটটা মাধ্যমিকে অষ্টম হল।ওকে বলতাম সব চ্যাপ্টারগুলোꦍ ভালো করে পড়। সেই অনুসারেই পড়াশোনা করত। খুব মন দিয়ে পড়ত।𝓀
কলকাতা থেকে অনেক দূরে একই বাড়িতে দুই বোনের নজরকাড়া সাফল্য। গর্বিত গোটা উত্তরবঙ্গ। মন দিয়ে পড়াশোনাই এনে দ💖িল সাফল্য।