কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়। তবে এই রঙ্গো সেই রঙ্গ নয়। এটা কালিম্পংয়ের রঙ্গো। এবার পুজোয় আপনার বেড়ানোর তালিকায় রাখতে পারেন সেই শান্ত সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম রঙ্গোকে। একেবারে পাহাড়ি ঝোরার ধারে কাটিয়ে দুটো দিন। যে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবেন তার রেশ থেকে যাবে বহুদিন। শহরের কোলাহলে. তীব্র যানজটে যখন হাঁসফাস অবস্থা💞 তখন চোখ বুজে একবার মনে করুন রঙ্গোকে মন ফুরফুরে হয়ে যাবে।
শিলিগুড়ি থেকে রঙ্গোඣর দূরত্ব প্রায় ৯৮ কিমি। এনজেপি থেক🅰ে রঙ্গো গাড়িতে যেতে সময় লাগতে পারে প্রায় তিন ঘণ্টা। তবে অনেকেই রঙ্গো যাওয়ার জন্য নিউ মাল জংশন থেকে গাড়ি ধরেন। সেখান থেকে রঙ্গোর দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিমি। স্টেশনের বাইরে অনেক গাড়ি আছে। এখান থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন রঙ্গোতে।
আকাশে শরতের মেঘ। চারপাশে♉ সবুজ বনানী। খুনিয়া মোড়, চাপরামারি অভয়ারন্যের পাশ দিয়ে গৈরিবাস হয়ে রঙ্গোর দিকে ছুটে যাচ্ছে গাড়ি। পথেই পড়বে দলগাঁও ভিউপয়েন্ট। এখানে গাড়ি দাঁড় 🏅করিয়ে দেখে নিন ভুটানের সবুজ পাহাড়। আর একটু এগোলেই ছবির মতো সুন্দর গ্রাম। রঙ্গো।
একেবারে নদীর ধারেই রয়েছে হোম স্টে। স꧙েখানেও রাত্রিবাস করতে পারেন। রাত হলেই শুনতে পাবেন পাথরের উপর আঘাত খাচ্ছে জলরাশি। জ্যোৎস্না রাতে হোম স্টের বারান্দায় এসে দাঁ✅ড়ান। এক অপূর্ব মায়াবী আলোয় ভরে থাকে💦 চারপাশ। তবে রাতে নদীর ধারে না যাওয়াই ভালো।
তবে রঙ্ꦏগোতে আসা মানেই কাঠের ব্রিজে যেতে ভু🎀লবেন না। কাঠের ব্রিজে দাঁড়িয়ে অনেকেই ছবি তোলেন।চারপাশে সবুজে সবুজ। হাত বাড়ালেই পাহাড়। ছোট ছোট বাড়ি। পাহাড়ের সহজ সরল জীবন। তার মাঝেই কাটিয়ে দিন কয়েকটা দিন। বুক ভরে নিঃশ্বাস নিন𝓀। এখান থেকে ফেরার পথে চাপরামারি অভয়ারন্য ঘুরে যেতে পারেন। ঘিঞ্জি দার্জিলিংয়ে না গিয়ে পরিবার নিয়ে সবুজ দেখুন, নির্জনতাকে উপভোগ করুন রঙ্গো থেকে।