এনডিএ সরকারের আমলে প্রথম ট্রেন দুর্ঘটনা। নতুন সরকার শপথ নেওয়ার পর দম নিতে সময় পেল না। তার মধ্যেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বেসামাল হয়ে গেল কেন্দ্রীয় সরকার। নানা প্রশ্নের মুখে পড়🎃ল রেলের যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য। যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে কমপক্ষে ১০ জনের। আহতের সংখ্যা ৪৪। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই অবস্থা সামাল দিতে রেল যাত্রীদের জন্য আইআরসিটিসি’র বিশেষ বিমা সামনে আনা হয়েছে। যেখানে মাত্র ৩৫ পয়সা খরচ করে এই বিমার সুবিধা নিতে পারেন রেল যাত্রীরা।
এখন পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে একজন মৃতের পরিবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা পাবেন। ত্রিপুরা সরকার ২ লাখ টাকা করে দেবে। আর রেল ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে। কিন্তু কোনও মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ কি দেওয়া সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন। তবু আর্থিক সাহায্য পরিবারের কাছে সামান্য সম্বল হতে পারে। তবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুক করার সময় যাত্রীরা যদি ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের (আইআরসিটিসি) পক্ষ থেকে বিমা করিয়ে নেন তাহলে বাড়তি সুবিধা মিলতে পারে। এই বিমার আওতায় ১০ লাখ টাকার সুবিধা পেতে পারেন রেলযাত্রীরা। ওড়িশার বালাসোর🔯ে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরে এই বিমার নিয়মে কিছু বদল আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এগিয়💜ে থাকা কি পৃথক রসদ জোগাচ্ছে বিজেপিকে? উপনির্বাচনের প্রাক্কালে ব্যাখ্যায় পদ্ম
এখন যা পরিস্থিতি তাতে দূরপাল্লার ট্রেনে সফর করার আগে টিকিট কাটার সময় যাত্রীরা এই বিমাটি বেছে নিতে পারেন। যদি যাত্রীরা টিক বক্সে রাইট চিহ্ন দেন তবে এই বিমাটি কার্যকর হয়ে যাবে। তবে এখন এই বিমাটি বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছে। কোনও যাত্রী যদি টিকিট বুকিং করার সময় বক্সে টিক না দেন, তাহলে নিজের থেকেই এই বিমা টিকিটে যুক্ত হয়ে যায়। তার ফলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে র🅘েলযাত্রী বা তাঁর পরিবার বিমার কভারেজ পেতে পারেন। এই বিমার সুবিধা পেতে মাত্র ৩৫ পয়সা খরচ করতে হবে। আর তাহলেই যে কোনও যাত্রীই এই বিম🔯ার সুবিধা নিতে পারেন।
তবে এই বিমার ক্ষেত্রে নানারকমভাবে সুবিধা মিলতে পারে। এই বিমা নেওয়া থাকলে রেল যাত্রার সময় যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে নানা ক্যাটেগরিতে ভাগ করে বিমা কভারেজ পাওয়া যাবে। রেল সফরের সময় দুর্ঘটনার জেরে যদি𓄧 কোনও ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয় তাহলে তাঁকে ২ লাখ টাকার কভারেজ দেওয়া হবে। আবার স্থায়ী আংশিক অক্ষমতা দেখা দিলে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এমনকী কোন ব্যক্তির মৃত্যুর হলে ১০ লাখ টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরে এখন এই বিমা বেশি চর্চিত হচ্ছে যাত্রীদের মধ্যে।