বেশ কয়েকদিন ধরে অভিযোগ আসছিল রাজধানী এক্সপ্রেসের শৌচালয়ের কল চুরি হয়ে যাচ্ছে। কে বা কারা এই কল চুরি করছিল তা বোঝাও যাচ্ছিল না। কল চুরি করে লাভই বা কী? এই প্রশ্ন রে🌠লকর্তাদের ভাবিয়ে তোলে। তখন জোরকদমে চিরুনী তল্লাশি শুরু হয়। আর তখনই ধরা পড়ে যায় এই চোরের দল। উঠে আসে চোখ কপালে ওঠার মতো ঘটনা।
ঠিক কী ঘটেছিল? রেল সূত্রে খবর, একদল চোর পরিকল্পনা করে রাজধানী এক্সপ্রেসের কল চুরি করছিল। তারপর তা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছিল হার্ডওয়্যারের দোকানে। দোকানগুলি কম দামে দামি কল কিনে প🌌রে বাজারে চড়া দামে বেচে মুনাফা করছিল। আর চোরেরা হাতে টাকা পেয়ে বেজায় খুশি হচ্ছিল। এভাবেই চলছিল দিনের পর দিন রোজগার। দেশের বিলাসবহুল ট্রেনের ২৯টি কল একসঙ্গে চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনায় চক্ষু চড়কগাছ রেলকর্তাদের।
জানা গিয়েছে, রাজধানী এক্স꧟প্রেসের শৌচালয়ের দামি কল লাগানো থাকে। সেগুলিই চুরি যায়। হাওড়ার মতো জনবহুল স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। এই দেদার শৌচালয়ের কল চুরির ঘটনা সামনে আসায় নড়েচড়ে বসেন রেল কর্তারা। এমনকী গত রবিবার সকালে ডাউন রাজধানী এক্সপ্রেস হাওড়ার ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসার পর ২৯টি কল চুরি যাওয়ার ঘটনা নজরে আসে।
উল্লেখ্য, গত ৩ অগস্ট ৬০টি কল চুরি হয়েছিল রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে। বারবার এই চুরিতে কপালে চ𝔍োখ উঠে যায় রেল কর্তাদের। তখন আরপিএফদের নির্দেশ দেওয়া হয় এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে। তখন আরপিএফ তদন্তে নেমে বাঁকুড়া থেকে এক চোরকে পাকড়াও করে। তাকে জেরা করে পরপর আরও তিনজনের হদিশ মেলে। গ্রেফতার করা হয় তাদের। আর প্রকাশ্যে আসে এই কল চুরির নেপথ্যে আসল ঘটনা।