আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ এবং ছཧাত্রসমাজ রাজপথে নেমে আন্দোলন করছেন। স্লোগান উঠছে—‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। তার মধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। পুলিশ কিছু ভুল নিশ্চয়ই করেছে বলে মন্তব্য করলেন ডেবরার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। ভুল না করলে মানুষের এত ক্ষোভ বাড়ত না বলেও মনে করেন প্রাক্তন আইপিএস। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে এখন জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
এই স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়ে চুপ করে থাকাটাই ভাল বলে তিনি মনে করেন। কিন্তু তার মধ্যেই একের পর এক বিধায়ক–নেতা নানারকম মন্তব্য করছেন। তাতে আরও জটিল𓃲 হচ্ছে বিষয়টি। কারণ এই মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তার উপর মানুষ তেতে রয়েছে এমন একটা ঘটনা সরকারি হাসপাতালে ঘটেছে বলে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা বেফাঁস এবং বিতর্কিত মন্তব্য করে পরিস্থিতি জটিল করে তুলছেন। সেখানে আজ, শনিবার ডেবরার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার কলকাতা পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রশাসনিক বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী, নবান্ন থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হতে পারে
এই আবহে বিরোধীরা কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তখন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের এমন মন্তব্য অস্বস্তি তৈরি করল রাজ্য সরকারের পক্ষে। হুমায়ুন কবীর এই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘তদন্ত নিয়ে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কারণ কিছু ভুল নিশ্চয়ই পুলিশের রয়েছে। যেমন ১৪ অগস্ট হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারপর হাসপাতালের ডেপুটি সুপার বাড়িতে ফোন করে প্রথমে জানালেন অসুস্থ। পরে বললেন আত্মহত্যা। 𝕴ত𒐪ারপর দেখা যাচ্ছে ধর্ষণ করে খুন। এটা ঘাড়ে চেপে যাচ্ছে পুলিশের। পুলিশ যেহেতু ইউনিফর্ম পরে থাকে, পুলিশ যেহেতু তদন্ত করেছে। সব দোষ পুলিশের ঘাড়েই চেপেছে। আমার মনে হয় অনেক ভাল তদন্ত হতে পারত।’
এখন অবশ্য কলকাতা পুলিশের হাতে তদন্ত নেই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। আর কদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, পুলিশ নির্যাতিতার বাড়িতে ফোন করে কোনও খবর দেয়নি। তার সপক্ষে একটি অডিয়ো ক্লিপ শোনানো হয়। যা যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক༺ তথা প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীরের কথায়, ‘কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে অত্যন্ত দক্ষ অফিসাররা রয়েছেন। এই ধরনের কেসে তদন্তের ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের থেকে এগিয়ে আছে কলকাতা পুলিশ। গত ২৪ দি♍ন ধরে তদন্তকারীরা নীরব। কলকাতা পুলিশের ক্ষেত্রে সেটা কখনওই হতো না।’