আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ এবং ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমে আন্দোলন করছেন। স্লোগান উঠছে—‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। আর এই স্লোগান শুধু শহরে নয়, উঠছে গ্রামবাংলাতেও। সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে বা﷽ংলার একাংশ মানুষ রাজ্য সরকারকে দায়ী করছেন। বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করছেন। এই আবহে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি। তাই জানতে চাওয়া হচ্ছে, কেন তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা কমে যাচ্ছে? যোগ্য নেতৃত্বের কি অভাব দেখা দিয়েছে?
তৃণমূল কংগ্রেস সরকার রাজ্যের মানুষজনকে নানা পরিষেবা দিলেও আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর তরুণ প্রজন্মের রাজপথে নামা নিয়ে চিন্তিত ঘাসফুল শিবির। তাই গ্রামবাংলায় কেমন প্রভাব পড়েছে সেটা জানা জরুরি। এই বিষয়টি নিয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রে💜সের সহ–সভাপতি প্রসূণ ষড়ঙ্গী বলছেন, ‘পরামর্শদাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা এই ঘটনার পর থেকে খোঁজখবর নিচ্ছেন।’ আর ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান কবিতা ঘোষের বক্তব্য, ‘শহরে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে গ্রামবাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এক প্রতিনিধি এসেছিলেন। সবার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন।’
আরও পড়ুন: ‘কাউকে আওয়াজ তুলতে দেখা যায়নি জাস্টিস ফর রাজভবন বলে’, মুখ খুললেন নির্যাতিতা
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় একটা সরকার বিরোধী হাওয়া তৈরি হয়েছে। শহরে সেটা বেশি হলেও গ্রামবাংলায় ততটা হয়নি। তাহলে কতটা হয়েছে? এটা জানতেই এবার খোঁজখবর শুরু করেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিরা। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের বিচারে ঝাড়গ্রাম পুরসভা এলাকায় ১৮টি ওয়া🌊র্ডের মধ্যে ১১টিতে তৃণমূল কংগ্রেস পিছিয়ে আছে। আর এখানেই প্রতিবাদী মিছিলে মানুষের ভিড় জোরদার হচ্ছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। এই আবহেই তৃণমূল কংগ্রেসের যাঁরা জনপ্রতিনিধি তাঁদের ভূমিকা সম্পর্কে খোঁজ নিতে শুরু করেছেন অভিষেকের প্রতিনিধি এবং আইপ্যাক।
এবার লোকসভা নির্বাচনে মোট ২৯টি আসন জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। র൩াজ্য সরকার এখন তাঁদেরই। তাই মানুষের আশা–আকাঙ্খা এই সরকারের উপর বেশি। সেখানে এমন একটা ঘটনা যেন পরিস্থিতি কঠিন করে দিয়েছে। তাই গত বুধবার ঝাড়গ্রামের এক বেসরকারি অতিথিশালায় তৃণমূল কংগ্রেসের সব পুরপ্রতিনিধিকে ডাকা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের ১৭ জন পুরপ্রতিনিধির মধ্যে ১৬ জন উপস্থিত ꦑছিলেন। একজন কলকাতায় থাকায় অনুপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেন অভিষেকের প্রতিনিধির বলে সূত্রের খবর। ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বাংলায়। তার আগে সব জেলাতেই এমন খোঁজখবর করা হবে। শুরু হল ঝাড়গ্রাম দিয়ে।