সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হলে তা থামানো যাবে না। তবে আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েও অনুমতি পেল না স্কুল। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানে। সেখানে দু'টি বেসরকারি স্কুল আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল বের কররা অনুমতি চেয়েছিল পুলিশের কাছে। তবে অভিযোগ, সেই অভিযোগ দেওয়া হয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্ধমানের দুটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল গত ১৮ অগস্ট একটি প্রতিবাদ মিছিল করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চায়। তবে পুলিশের তরফ থেকে সেই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এদিকে ২১ অগস্ট ফের মিছিলের জন্যে অনুমতি চাওয়া হয়। তবে দু'টি স্কুলকে ফের ফিরিয়ে দেয় পুলিশ প্রশাসন। (আরও পড়ুন: আর𓆏জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ𒁏ে পথে নামা পড়ুয়া-শিক্ষকদের 'বাধা', আঙুল TMC-র দিকে)
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট এর আগেই জানিয়েছিল, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কেউ যদি কোনও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ডাক দেয়, তাহলে পুলিশ ও প্রশাসন সেই প্রতিবাদ ঠেকাতে বল প্রয়োগ করতে পারবে না। এই আবহে অভিযোগ, পুলিশ নাকি মৌখিক ভাবে এই মিছিল না করতে বলেছে ꦿস্কুল কর্তৃপক্ষকে। এদিকে এই বিষয়ে একটি স্কুলের চেয়ারম্যান সঞ্জয় গুপ্তা জানান, মিছিলে অংশ নিতে ইচ্ছুক শিক্ষক, স্কুলের অশিক্ষ কর্মী, অভিভাবক, পড়ুয়া সবাই। তাও পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না। তবে অনুমতি না মিললেও ২৩ অগস্ট তারা মিছিল বের করবেন বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই বিষয়টি পুলিশকে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপত🔴ি, কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকদের সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হল যে স্কুলের বাইরে কোনওরকম কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না পড়ুয়ারা। শুধুমাত্র স্কুলশিক্ষা দফতরের আয়োজিত কোনও অনুষ্ঠানেই তারা যোগ দিতে পারবে। আর সেই নির্দেশিকা নিয়ে যেমন সমালোচনায় মুখর হয়েছে শিক্ষক মহল, তেমনই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। ওই নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘হীরক রানি’ বলে কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের প্রেক্ষিতেই সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে একটা শব্দও খরচ করা হয়নি। তবে বিরোধীদের🍎 দাবি, সেই ইস্যুতে প্রতিবাদ ঠেকাতেই এহেন নির্দেশিকা জারি।