ꦜ বিজেপির প্রাক্তন মহিলা কর্মীকে তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে গেল জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন মহিলা কমিশনের সদস্য চিকিৎসক অর্চনা মজুমদার। আর নির্যাতিতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। অর্চনাদেবী বলেন, শুধু ধর্ষণ নয়, মহিলার ওপর পাশবিক নির্যাতন চলিয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে বালি ও পাথর ঢুকিয়ে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, এলাকার অন্তত ২০ জন মহিলা তাঁর কাছে লক্ষ্মী শীটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন - ꦉবাংলায় আসতে চলেছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে?
পড়তে থাকুন - ജ'আর একতরফা হবে না, সেটা সরস্বতী পুজোয় প্রমাণ হয়ে গেছে, রামনবমীতে প্রমাণ হবে'
☂রবিবার নির্যাতিতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর পর নারায়ণগড় থানায় গিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা লক্ষ্মীকান্ত শীটকে কেন এখনও গ্রেফতার করা হয়নি তা জানতে চান। নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে তিনি বলেন, ‘রাজ্যের মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায় দাঁড়িয়ে? একজন মহিলা একটা দরখাস্ত করতে গেলে যদি তাঁকে ধর্ষণ করা হয়, তাঁর যৌনাঙ্গের ভিতরে পাথর গুঁজে দেওয়া হয় তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ৩ ঘণ্টা পরে নিয়ে গিয়েছিল তার পর এইমসে চিকিৎসা চলেছে ২ দিন। এইমস তো মিথ্যে কথা বলবে না। তাঁকে চিকিৎসা করতে হল কেন? তাঁর কি আগে থেকে কোনও রোগ ছিল? কিচ্ছু ছিল না। তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচার ও যৌন নির্যাতন হয়েছে। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুলিশের যে তৎপরতা তা এই মহিলাদের জন্য দেখি না।’
♒তিনি দাবি করেন, ‘আমি এখানে একজন মহিলার জন্য এসেছি। কিন্তু এখানে অন্তত ২০ জন মহিলা আমাকে জানালেন তাঁদের প্রত্যেকের ওপর ওই একজন ভদ্রলোক, যিনি ধর্ষক, তিনি কোনও না কোনও সময় তাদের আর্থিক তোলা তোলা, তাদের বাড়ি দখল করা, তাদের জমি নিয়ে নেওয়া, তাদের শারীরিক অত্যাচার, কিছু না কিছু চালিয়েই যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, সে যেন এই অঞ্চলের আরেক শেখ শাহজাহান।’
আরও পড়ুন - 🐼পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ নারায়ণগড়ের নির্যাতিতা
ꦡবলে রাখি,গত রবিবার নারায়ণগড়ের তেঁতুলমুড়ি এলাকায় ‘বিজেপি করি না’ বলে মুচলেকা দিতে হবে বলে বিজেপির এক প্রাক্তন মহিলা কর্মীকে ডেকে পাঠান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি লক্ষ্মী শীট। তখন সেখানে ছিলেন তৃণমূল নেতা শক্তি ভুঁইয়া। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূল পার্টি অফিসের ভিতের মহিলাকে ধর্ষণ করেন ২ জন। তখন সেখানে পৌঁছে যান স্থানীয় তৃণমূলকর্মী মানস ভুঁইয়া। তিনি মহিলাকে উদ্ধার করেন ও গোটা ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। এর পর উদ্ধারকারী যুবক মানস ভুঁইয়াকেই লক্ষ্মী শীটের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে পুলিশ। উলটো দিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সমর্থনে মিছিল করতে দেখা যায় স্থানীয় বিধায়ককে।