ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় নাম উঠেছিল নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের। সেই শেষ সুফিয়ানকে জেরা করার জন্য তলব করেছিল সিবিআই। তবে গুরুতর অসুস্থ নন্দীগ্রামের এই তৃণমূল নেতা। আর সেই অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন না তিনি। মঙ্গলবার হলদিয়া সিপিটি গেস্টহাউসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সুফিয়ানের। পরে তাঁর আ꧟ইনজীবী স্বপন কুমার অধিকারী তৃণমূল নেতার অসুস্থতার সার্টিফিকেট-সহ একটি লিখিত পিটিশন জমা দেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের চিল্লগ্রামের বাসিন্দা, বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির উপর ꦦহামলা করা হয়। একইসঙ্গে, তাঁর দলীয় সহকর্মীদের বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় গুরুতর জখম দেবব্রত এসএসকেএমে মারা যান ১৩ মে। দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনাতেই নাম জড়িয়েছে শেখ সুফিয়ানের। যদিও পরবর্তীততে সুফিয়ানের ন⛎াম এই মামলা থেকে কার্যত মুছে ফেলে সিবিআই। যা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয় চলতি বছরের ২ মে। তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিশেষত বিজেপির অভিযোগ, ভোটের পর বেছে বেছে তাদের কর্মী, সদস্যদের টার্গেট করছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি কর্মীদের উপর লাগাতার হামলা করা হয়। তাঁদের বাড়ি, ঘর লুঠ করা হয়। প্রাণ ভয়ে ভিনরাজ্যে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয় ত▨াঁদের। এমনকী, মহিলাদেরও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ।
বিষয়ট🔜ি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় যে গুরুতর অভিযোগগুলি রুজু হয়েছে, বা অভিযোগ উঠেছে, সেগুলির তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। সেই মোতাবেক, খুন, ধর্ষণের মতো অভিযোগগুলির তদন্ত শুরু করেন সিবিআই গোয়েন্দারা।