বাঁকুড়ার ওন্দায় দুই মালগাড়ির ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে ব্যা♌হত হল ট্রেন পরিষেবা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের অন্তর্গত খড়্গপুরের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার জেরে ১১টি এক্সপ্র🎃েস এবং মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যে ট্রেনগুলি বিভিন্ন প্রান্তিক স্টেশন থেকে আজ ছাড়ার কথা ছিল। সেইসঙ্গে দুটি দূরপাল্লার ট্রেনের (আনন্দ বিহার টার্মিনাল-পুরী নন্দনকানন এক্সপ্রেস এবং পোরবন্দর-সাঁতরাগাছি কবিগুরু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস) যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাঁকুড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য কোন কোন ট্রেন বাতিল করা হয়েছে?
১) ১২৮২৮ পুরুলিয়া-হাওড়া সু🔜পারফাস্ট এক্সপ্রেস।
২) ১৩৫০৬ আসানসোল-দিঘা এক্সপ্রেস।
৩) ০৮৬৮৬ আদ্রা-খড়্গপুর মেমু প্যাসেঞ্জার।
৪) ০৮৬৭৫ বিষ্ণুপুর-আদ্রা মেমু স্পেশাল।
৫) ০৮৬৭৭ বিষ্ণুপুর-ধানবাদ মেমু স্পেশাল।
৬) ১৮০২৭ খড়্গপুর-আসানসোল মেমু এক্সপ্রেস।
৭✨) ১২৮৮৩ সাঁতরাগাছি-পুরু꧋লিয়া রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস।
৮) ১৮০৩৫ খড়্গপুর-হাতিয়া এক্সপ্রেস।
৯) ০৮৬৫৭ আদ্রা-আসানসোল মেমু প্যাসেঞ্জার স্পেশাল।
১০) ১৮০২৪ নেতাজি সু⛦ভাষচন্দ্র বসু জংশন গোমো-খড়্গপুর ღএক্সপ্রেস।
১১) ০৮১৭৩ আসানসোল-টাটানগ🔴র মেমু স্পেশাল প্যা☂সেঞ্জার।
১২) ১৩৫০৫ দিঘা-আসানসোল এক্সপ্রেস।
১৩) ১৮০৩৬ হাতিয়া-খড়্গপুর এক্সপ্রেস।
কোন কোন ট্রেনের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে?
১) ১২৮১৬ আনন্দ বিহার টার্মি🃏নাল-পুর🌄ী নন্দনকানন এক্সপ্রেস: যে ট্রেন (২৪ জুন) শনিবার যাত্রা শুরু করেছে, সেই ট্রেনকে আদ্রা, চাণ্ডিল, টাটানগর এবং হিজলি স্টেশন দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
২) ১২৯৪৯ পোরবন্দর-সাঁতরাগাছি কবিগুরু সুপারফাস্ট এ𓃲ক্সপ্রেস: যে ট্রেন গত শুক্রবার (২৩ জুন) যাত্রা শুরু করেছে, তা পুরুলিয়া পুরুলিয়া, টাটানগর এবং൩ খড়্গপুর দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
৩) ১৮৬২৮ রাঁচি-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস (ভায়া আদ্রা) ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।🔯 কোটশিলা, পুরুলিয়া, টাটানগর এবং খড়্গপুর হয়ে যাবে।
কীভাবে বাঁকুড়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে?
রবিবার ভোর চারটে নাগাদ ওন্দা স্টেশনে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। পিছন থেকে অপর একটি মালগাড়ি এসে ধাক্কা মারে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, লুপ লাইনে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। ওই লাইনেই অপর মালগাড়িটি চলে আসে। তা⛦র জেরে দুটি মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। লাইনচ্যুত হয়ে যায় দুটি ট্রেনের মোট ১২টি বগি। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘট𓆉নায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তাতে রেহাই পাচ্ছে না। ওড়িশার বালাসোরে যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এবারও ঠিক একই কায়দায় দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, মালগাড়ি হওয়ায় অনেক মানুষের প্রাণরক্ষা পেল।