পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে রাজ্য যত এগোচ্ছে তত হিংসার পরিবেশ দেখা যাচ্ছে গ্রাম বাংলায়। আর এখন আতঙ্কের🅷 জায়গার নাম—ইসলামপুর। এখানে একদিন আগেই বোমা মেরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের খুলি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনা নিয়ে থানা ঘেরাও পর্যন্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার গুলি চলল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর পুলিশ জেলা এলাকায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বলে অভিযোগ। বৃহস্পতি﷽বার রাতে চোপড়া থানার কোটগছ এলাকার ঘটনায় এখন আতঙ্কিত বাসিন্দারা।
ঠিক কী ঘটেছে ইসলামপুরে?𒈔 তৃণমূল কংগ্রেসের সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তাঁকে লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এই তৃণমূল কংগ্রেস💛 নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে এই নেতার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। ইসলামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কৌশিক গুন জানান, ঘির্নিঘাওয়ের অঞ্চল যুগ্ম সভাপতি জাকির হোসেন ওরফে জাকির মাস্টারকেই গুলি করা হয়েছে।
কে গুলি করল জাকিরকে? এই গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে কোটগছ এলাকা। এই ঘটনার পিছনে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত আছেꦆ কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ করা হচ্ছে। যদꦓিও তৃণমূল কংগ্রেস কৌশিকের দাবি, ‘কে বা কারা জাকিরকে গুলি করেছে ღসেটা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। দোষীদের শাস্তি হবেই।’ এখন প্রশ্ন উঠছে, এই ঘটনা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ঘটেনি তো? কারণ সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুর পিছনে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই প্রকট হয়ে উঠেছে। এমনকী সেই কথা শোনা গিয়েছিল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরীর মন্তব্যেও। এবার অবশ্য তিনি কোনও প্র꧃তিক্রিয়া দেননি।
আর কী জানা যাচ্ছে? বুধবার মাঝরাতেই ইসলামপুর থানার দক্ষিণ মাটিকুণ্ডা গ্রামে শাকিব আখতার নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার বোমার আঘাতে মারা যান। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর ভাই ছিলেন। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তাঁর গায়ে লাগে বোমা। ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনারও তদন্ত করছে পুলিশ। বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। আর তার মধ্যেই আবার চলল গুলি। এই শুটআউটেরও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আগের ঘটনায় দলের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ইসলামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। তিনি মুখ্যমন্ত♏্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবিও করেছেন। তারপরই এখানে ঘটে গেল শুটআউটের ঘটনা। যা নিয়ে আতঙ্কে ইসলামপুরের বাসিন্দারা।