রাজ্যের শিল্পের খরা কি এবার কাটবে? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ইতিমধ্যেই তিনটি অর্থনৈতিক করিডর তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গেই পুরুলিয়া জেলার র🦩ঘুনা♉থপুরে শ্রী সিমেন্টের নতুন কারখানার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই কারখানার উদ্বোধন করেছেন তিনি। এখানে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এদিকে এই কারখানাকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্নের বীজ বুনছেন অনেকেই। কর্মসংস্থানের সুযোগও রয়েছে।
সূত্রের খবর, এই কারখানায় ১২৫০ জনেরও বেশি কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে যাদের পেটের দায়ের ভিনরাজ্যে কাজ ⭕করতে যেতে হয় তাঁরা এবার পুরুলিয়াতেই কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরীতে এই বিরাট কারখান🦩া তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের ১১টি রাজ্য মিলিয়ে শ্রী সিমেন্টের কারখানার সংখ্য়া দাঁড়িয়েছে ১৫টি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ৭৫০ কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে রঘুনাথপুরে। সেখানে বড় শিল্প করিডর তৈরি করেছি। নাম দেওয়া হয়েছে জঙ্গলসুন্দরী। ৭২ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হবে। শ্রী সিমেন্টের চেয়ারম্যান এইচএম বাঙ্গুর জানিয়েছেন, রাজ্যে আরও একটি এই ধরনের কারখানা তৈরির পরিকল্পনা তাঁদের রয়েছে। তবে সূত্রের খবর, জার্মান প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেখানকার উন্নত ধরনের যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। এর জেরে এই কারখানা থেকে দূষণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বহুলাংশের কম। মূলত ঝাড়খণ্ড ও বাংলার সিমেন্টে🌸র বাজার ধরতে চাইছে এই শিল্প প্রতিষ্ঠান।
সেই সঙ্গেই গোটা পূর্ব ভারতের বাজার ধরতে চাইছে শ্রী সিমেন্ট। এই সিমেন্ট কারখানা চালু নিয়ে বাংলার জন্য় মূলত দুটি আশার কথা। একটি হল প൲্রচুর কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা। আর দ্বিতীয়টি হল এই কারখানা চালু হলে বিনিয়োগ ক্রমেই বাড়তে থাকবে। একাধিক অনুসারী শিল্প কারখানাও চালু হতে পারে। সিমেন্ট পরিবহণের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচুর কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্রের খবর, ছত্তিশগড়ের ইউনিটের সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করবে এই পুরুলিয়ার ইউনিটটি। এদিকে এই রাজ্যর বাসিন্দা বাঙ্গুর পরিবার এবার বাংলায় বিনিয়োগ নিয়ে বিশেষভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী দ🐼িনে তাদের হাত ধরে বাংলায় আ𝓡রও বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে বাংলার বাজার ধরতে গেলে শ্রী সিমেন্টকে ইতিমধ্য়েই একাধিক সিমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। তবেജ বাংলা, ঝাড়খ🤡ণ্ড সহ পূর্ব ভারতে বাজার ধরার ক্ষেত্রে আশাবাদী শ্রী সিমেন্ট।