আজ, মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আসে কাউন্সিলরদের কাছে। অচেনা নম্বর থেকে মেসꦉেজ এলেও ডিপি তাঁদের কাছে খুবই পরিচিত। ছবিটি শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেবের। আর তারপরই এল আসল খবর। মেয়রের ছ🦩বি ব্যবহার করে কাউন্সিলরদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি আজ সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তারপরই হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মেয়রের ছবি বদলে দেন ওই অভিযুক্ত। যে নম্বরটি থেকে ওই অ্যাকাউন্ট খোলা তারই ডিসপ্লে পিকচারে রয়েছে গৌতম দেবের ছবি। নামের জায়গায়ও তাঁরই নাম লেখা। ওই নম্বর থেকেই কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরদের কাছে ম্যাসেজ পাঠানো হয়। এই নিয়ে আজ বোর্ড সভায় বিস্তারিত জানান বিজেপি কাউন্সিলর শালিনী ডালমিয়া। তিনি জানান, সকালে মেসেজ করে টাকা চাওয়া হয়েছে।
এদিকে ওই নম্বর থেকে মেসেজ করে কাউকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে কেমন আছেন? আবার কাউকে বলা হচ্ছে টাকা পাঠাতে। আবার কাউকে বলা হচ্ছে গিফট চেক পাঠাতে। এই ঘটনায় অনেকেরই সন্দেহ হয়𝕴। তারপরই মেয়রকে সরাসরি ফোন করে বসেন অনেকেই। বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই শিলিগুড়ি সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ হন মেয়র গৌতম দেব। শিলিগুড়ির পাঁচজন বোরো চেয়ারম্যানের নামেও এভাবে আগে মেসেজ করে টাকা চাওয়া হয়েছিল꧂। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: নবান্🔥নে মুখ্যমন্ত্রী–কুমার মঙ্গলম বিড়লার সাক্ষাৎ, বিপুল বিনিয়োগ📖 হতে চলেছে বাংলায়
অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হতেই তদন্তে নেমে পড়েছে পুলিশ। গোটা শিলিগুড়ি জুড়ে এখন এই চর্চাই তুঙ্গে উঠেছে। এই আবহে একই অভিযোগ জানান তৃণমূল কংগ্রেসের কাউমসিলর সঞ্জয় শর্মা। টাকা চাওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সেটা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে এলাকা জুড়ে। বিষয়টা যে ঘটছে স🌃েটা মানছেন মেয়র গৌতম দেবও। মেয়র বলেন, ‘কংগ্রেস কাউন্সিলরের কাছেও টাকা চাওয়া হয়েছে। আমার ছবি ব্যবহার হচ্ছে।’ ক্ষুব্ধ মেয়র সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারকেও ফোন মাধ্যমে সব কথা জানিয়ে দেন।
এছাড়া মেয়র জানান, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও প্রতারণা চক্র জড়িত। পুলিশকে সব জানানো হয়েছে। যে নম্বর থেকে ওꦑই মেসেজ আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেটা ইতিমধ্যেই পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে জানিয়েছেন মেয়র। পুলিশের খাতায় দায়ের হয়েছে বিস্তারিত অভিযোগ। তদন্তও শুরু হয়েছে। এই ঘটনা নিছকই প্রতারণার ঘটনা নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও রাজনৈতিক ইস্যু রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।