শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে একসঙ্গে ৯ জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার ১০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। কেন এমন ঘটনা ঘটল? ছট পুজোর ডিউটির দিন দেরি করে এসেছিলেন ৯ পুলিশকর্মী বলে অভিযোগ। তার জেরে কমিশনারেটের ৯ 🔜পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। এখানেই শেষ নয় একই অপরাধে ১০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকেও একমাস কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এটা লঘু পাপে গুরু দণ্ডের মতো ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনা এখন চাউর হয়ে গিয়েছে। এমন কাজ করা যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শীতের মরশুমে এমন শাস্তি পেয়ে হতাশ পুলিশকর্মীরা। এই সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন—শিলিগুড়ি থানার তিনজন, এনজেপি থানার একজন, পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির একজন এ🍃বং পুলিশ লাইনের চারজন। সাসপেন্ড হওয়ার পর তাঁদের ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তার মধ্যেই ডিসিপি সদরের অফিস থেকে এই সাসপেনশ✅নের নোটিশ এসে গিয়েছে। এই বিষয়ে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেন, ‘এগুলি সম্পূর্ণ আমাদের বিভাগীয় বিষয়। সংবাদমাধ্যমে তা নিয়ে মন্তব্য করব না।’
আরও পড়ুন: চাহিদার থেকে ১ লক্ষ টনের ঘাটতি রয়েছে আলুর, হিমঘরে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ, এবার কি দাম কমবে?
এই সাসপেন্ড হওয়া ৯ জন পুলিশকর্মী এমন ঘটনাটি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে নালিশ ঠোকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত ৭ এবং ৮ নভেম্বর ছট পুজো ছিল। সেদিন রাতে শিলিগুড়ির নানা ঘাটে রাত ১২টা থেকে সাব ইনস্পেক্টর, সহকারি সাব ইনস্পেক্টর, কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের ডিউটি করার কথা ছিল। মহিলা পুলিশকর্মীদেরও ওই ডিউটি রোস্টারে রাখা হয়। কিন্তু ওই পুলিশকর্মীরা সংশ্লিষ্ট জোনের এসিপি অথবা থানার আইসি, ওসিদের সঙ্গে রাউন্ডে ছিলেন। সেদিন রাতে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের দফতর থেকে সারপ্রাইজ ভিজিটে আসেন দু’জন এসআই। তাঁরা এসে রোস্টার মিলিয়ে নাম ডাকতে থাকেন। সেখানে এই ৯ জনকে পাওয়া যায়নি। তাই তাঁদের অনুপস্থিত দেখিয়ে রিপোর্ট দ🉐িয়ে দেন।
পেশ করা রিপোর্টে ওই ৯ জন পুলিশকর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং সাসপেন্ড করার ঘটনা ঘটে। ১০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধেও রিপোর্ট জমা দেন তাঁরা। তারপর ডেকে পাঠানোএই সাস, জিজ্ঞাসাবাদ করা সবই হয়। তারপর সাসপেন্ড করা হয়। পেন্ড হওয়া পুলিশকর্মীদের অভিযোগ, ওই রিপোর্টে কারসাজি করা হয়েছে। তা না হলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে♓ না। সাসপেন্ড হওয়া পুলিশকর্মীদের পক্ষে সংশ্লিষ্ট থানা রিপোর্ট দিলেও সাসপেন্ডের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। এই ঘটনায় কমিশনারেট জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। যদিও এই ঘটনায় সাসপেন্ড না করে তাঁদের উপর বিভাগীয় তদন্ত করা যেতে পারত। কিন্তু সেটা না করে সরাসরি কড়া🅘 পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু কেন? উঠছে প্রশ্ন।