মেরেকেটে ১৮ মাস থেকে ২০ মাস অপেক্ষা করতে হবে। তারপরই পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় পুরোদমে তাঁর ইস্পܫাত কারখানা চালু হয়ে যাবে বলে দাবি করলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতায় একটি সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে নাম ঘোষণার অনুষ্ঠানে সৌরভ জানান, আগামী ১৮ থেকে ২০ মাসের মধ্যে ইস্পাত কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন। আর সেই কারখানার হাত ধরে ১০,০০০ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশাবাদী ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
এমনিতে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্পেনে গিয়ে সৌরভ ইস্পাত কারখানা তৈরির ঘোষণা করলেও দীর্ঘদিন ধরে সেই বিষয়টি নিয়ে জট তৈরি হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে কটাক্ষও করা হচ্ছিল। তা নিয়ে প꧑ালটা দিয়েছেন সৌরভ।
ঘোষণা করা হয়েছে মানেই এখনই কারখানা চালু হবে, এমন হয়, দাবি সৌরভের
শুক্রবার সৌরভ জানান, ইস্পাতের কারখানা তৈরির ঘোষণা করা হয়েছে মানে যে দু'সপ্তাহের মধ্যে সেটা চালু হয়ে যাবে, তা মোটেও আশা করা যায় না। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগে। জমি অধিগ্রহণের ব্যাপার থাকে। রাজ্য সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র লাগে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত𒅌্রণ পর্ষদেরও 'গ্রিন সিগন্যাল'-র প্রয়োজন হয়। সেইসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তবেই কারখানার উৎপাদন কাজ চালু করা যায় বলে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন সৌরভ।
২,৫০০ কোটি টাকার লগ্নি!
সূত্রের খবর, ক্যাপ্টেন টিএমটি বারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে প্রাথমিকভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে সৌরভের কারখানা গড়ে ওঠার কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত গড়বেতায় জমি পেয়েছেন সৌরভরা। আর সেখানেই তৈরি করা হচ্ছে ইস্পা﷽ত কারখানা। যখন সেটি পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে, তখন বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে আট লাখ টন। আর লগ্নির অঙ্কটা ২,৫০০ কোটি টাকার মতো হবে বলে সূত্রের খবর।
ক্যাপ্টেন স্টিলের সবথেকে কারখানা গড়বেতায়
আর গড়বেতায় যে কারখানা গড়ে উঠছে, তা পশ্চিমবঙ্গে ক্যাপ্টেন স্টিলের তৃতীয় কারখানা হতে চলেছে। এখন রাজ্যে ওই সংস্থার দুটি কারখানা আছে। ওই দুটি মিলিয়ে বছরে যে পরিমাণ উৎপাদন করা হয়, সেটার দেড় গুণ ‘শক্তিশালী’ হচ্ছে গড়বেতার কারখানা। অর্থাৎ ওই দুটি কারখানা মিলিয়ে আপাতত বছর পাঁচ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করা হয়। আর সেখানে গড়বেতায় কারখানায় বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতায় আট লাখ টন হবে। ফলে সবমিলিয়ে পশ্চিমব♒ঙ্গে বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৩ লাখ টনে পৌঁছে যাবে বলে আশাবাদী ক্যাপ্টেন স্টিল কর্তৃপক্ষ।