লোকসভা ⛎ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করানোর পক্ষে বিজেপি। দীর্ঘদিন ধরেই এর পক্ষে সওয়াল করে এসে কেন্দ্রের শাসকদল। তবে সংবিধান ও আইনের জটিলতায় এই ইচ্ছে এখনও বাস্তবায়িত করতে পারেনি পদ্ম শিবির। ভবিষ্যতে আদৌ তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে কি না, তাও কেউ জানে না। এরই মাঝে নয়া সুর শোনা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শভেন্দু অধিকারীর গলায়। বিজেপি নেতা দাবি করলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে পশ্চিমবঙ্গের আগামী বিধানসভা নির্বাচন।
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২০২১ সালে রাজ্যে সরকার গঠন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকে ধাপে ধাপে বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে বহু বিধায়ক, সাংসদ নিজেদের দলে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এহেন পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সরকারের পাঁচ বছর পূরণ করা হবে না বলে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বাঁকুড়ার সোনামুখীতে শুক্রবার বিজেপির সঙ্কল্প যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে গি♑য়ে শুভেন্দু বলেন, ‘২০২৬ সাল পর্যন্ত পরবর্তী বিধানসভা ভোটর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না, ২০২৪ সালেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ প্রসঙ্গত, রাজ্যে শেষবার লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯১ সালে। সেবার জ্যোতি বসুর সরকারের পাঁচ বছর পূরণ হওয়ার এক বছর আগেই রাজ্যে ভোট হয়েছিল।
শুভেন্দুর দাবি, রাজ্যে যেভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে এবং কোষাগারের যে বেহাল দশা রাজ্য সরকার বানিয়ে রেখেছে, তাতে আগেভাগেই সরকার ভেঙে দিতে বাধ্য হবে তৃণমূল। যদিও শুভেন্দুর এই দাবি মানতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। বিরোধী দলনেতার দাব🌳িকে পালটা কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সবাই বিজেপি ছাড়ছে। দিল্লির কাছে রাজ্যের নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই অবস্থায় মুখরক্ষায় এই সব কথা বলা হ্চ্ছে। শুভেন্দু নিজেও জানেন, ও সব হবে না।’