বাংলায় চলল বুলডোজার। রেলের উদ্যোগে বসতি উচ্ছেদ অভিযানে নেমে বর্ষার মরশুমে বিপুল পরিমাণ মানুষকে আশ্রয়হীন করে দিল রেল কর্তৃপক্ষ। সুতরাং বুলডোজার চালিয়ে গরিব মানুষের আশ্রয় ভেঙে দেওয়ায় রাতারাতি পথে এসে বসলেন বসতির মানুষজন। আজ, শনিবার তারকেশ্বর রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বসতি উচ্ছেদ করে রেল। সেখানেই চলে দেদার বুলডোজার। কোনওরকম অশান্তি যাতে না হয়, বিক্ষোভের মুখে পড়তে না হয় তা𓃲র জন্য মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশবাহিনী। আশ্রয়হীন বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই উচ্ছেদের জেরে তাঁরা গৃহহীন হয়ে পড়লেন। বিকল্প ব্যবস্থার জন্য আ🉐র কিছুদিন সময় দিলে ভাল হতো।
এদিকে রেল সূত্রে খবর, তারকেশ্বর স্টেশন যা হুগলি জেলার মধ্যে পড়ে তাকে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। তাই এখানে কাজও শুরু হয়েছে। রেলস্টেশনের🐠 সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন বসতি ছিল। গরিব মানুষরা সারাদিন খেটে এখানেই মাথা গুঁজে দিনগুজরান করতেন। এবার তাদের আশ্রয় বুলডোজার দিয়ে নির্বিচারে ভেঙে দেওয়া হল। যদিও এই বসতির বাসিন্দাদের আগে থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নোটিশ অনুযায়ী, ১২ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা ছিল। আর তা শেষ হতেই আজ, ১৩ জুলাই শনিবার সকালে বুলডোজার দিয়ে বসতি গুঁড়িয়ে দিল রেল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই বর্ষায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে তাঁদের। নোটিশ দেওয়া হলেও বর্ষা কেটে যাওয়া পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়। রেল তাতে সাড়া দেয়নি।
আরও পড়ুন: উপনির্ꦯবাচনে চার–শূন্য হল বিজেপি, ঘাসফু🔯লের জয়–পদ্মফুলের পরাজয়ের নেপথ্যে কারণ কী?
অন্যদিকে এই বসতিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও পাশের বসতিতে থাকা এবং রেলের জায়গা দখল করা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনও ♌পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বসতির বাসিন্দাদের। আরও অভিযোগ, রেলের জায়গায় অনেকে পাকা বাড়ি করে বসবাস করছে। রেল তাদের সরাচ্ছে ꦰনা। অথচ গরিবদের রেল সরিয়ে দিচ্ছে। এটা দ্বিচারিতা। যদিও রেলের দাবি, আগামী দিনে রেলের জায়গায় সমস্ত দখল করে রাখা জায়গাই উচ্ছেদ করা হবে। এখন হঠাৎ করে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বাসিন্দারা কোথায় যাবেন তা নিয়ে দিশেহারা অবস্থা হয়েছে।
এছাড়া এখন রোজই বৃষ্টি হচ্ছে। তাই সন্তানদের নিয়ে গৃহবধূরা কোথায় আশ্রয় নেবেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই নিয়ে বসতিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ত💛ৈরি হয়েছে। রেলের কাছে সময় চেয়েও মেলেনি। আবার বুলডোজার দিয়ে সব তছনছ করে দেওয়া হল। এই বিষয়ে বসতি💮বাসী মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা বলেন, ‘আমাদের কাছে বসতি খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এটা সত্যি। কিন্তু ওই অল্প সময়ে কোথাও যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই বাড়তি সময় চাওয়া হয়। পরিবর্তে রেল বুলডোজার নামিয়ে দেয় সব ভেঙে দেওয়া হয়। বর্ষার মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই ঘরহারা। তিন মাস সময় দিলে কী হতো? অনেকেই বাড়ি ভাড়া পায়নি। এখানে কিছু মানুষ আছেন যাঁরা জমি কিনেছেন। তারাও বাড়ি বানাতে পারেননি।’