ꦚ প্রতিবছরের মতো এ বছরও চা উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল চা পর্ষদ (টি বোর্ড)। কবে থেকে চা উৎপাদন বন্ধ থাকবে সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে টি বোর্ড। তাতে বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য আলাদা আলাদা দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দার্জিলিং, সিকিম, 🅰হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে আগামী চা বাগানে আগামী ১১ ডিসেম্বরের পর থেকে চা পাতা তোলা যাবে না। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্স ও তরাই এবং বিহারের চা বাগানের ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা করা হয়েছে ২৩ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: খুশির খবর! পুজোর বোনাস দিচ্ছে অসমের ৭১টি চা বাগান
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দার💎্জিলিং, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের চা বাগান গুলিতে চা পাতা থেকে চা তৈরি সংক্রান্ত কাজ শেষ করতে হবে আগামী ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে এবং বিহারের ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা হল ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা চা পাতা থেকে চা মজুত এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হবে। তবে এই নির্দেশ প্রথম নয়। চায়ের গুণগত মানের কথা মাথায় রেখে গত ৫ বছর ধরে শীতের সময়ে চা পাতা তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আসছে টি বোর্ড। সাধারণত🍌 প্রতি বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দুমাস চা পাতা তোলা বন্ধ রাখা হয়। এই সময়ে বাগান ও কারখানাগুলি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। কারণ ওই সময় পাতার উৎপাদন নিম্নমানের হয় ফলে সেই পাতা থেকে যে চা তৈরি হয় তার স্বাদ-গন্ধ কম থাকে। ফলে দাম কমে যায়। সেই কারণেই চা পাতা তোলা এই সময়ে বন্ধ রাখা হয়। সেইমতো এবারও এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল টি বোর্ড।
এর পাশাপাশি বাগানগুলিতে মজুত চা প্যাকেটজাত করা এবং তা পাঠানোর যে পর্ব রয়েছে সেগুলির ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সিকিম, দারﷺ্জিলিং, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের ক্ষেত্রে তা সেরে ফেলতে হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে। অন্যদিকে, তরাই , ডুয়ার্স এবং বিহারের ক্ষেত্রে তা ৬ জানুয়ারির মধ্যে সেরে ফেলতে হবে। তবে সেখানকার বাগানগুলির অর্থডক্স এবং গ্রিন টির ক্ষেত্রে ১১ জানুয়ারির মধ্যে সেই প্রক্রিয়াটি সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দ্রব্যের মতো চায়েরও গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়মের আওতায় চা শিল্পগুলিকে বেশকিছু নীতি মেনে চলতে হয়। এছাড়া বেশ কয়েক বছর আগে আরও বেশ কিছু নতুন মাপকাঠি যুক্ত করা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য হলো চায়ের গুণগত মান বাড়ানো। সেগুলিও মেনে চলতে হয🍸় চা শিল্পগুলিকে।