এখন রাজ্যে শীতকাল চলছে। বলা যেতে পারে এটাই শীতের অন্তিম স্পেল ২০২৪ সালে। তবে শ🐽ীতের মরসুমে ভাল চা তৈরি হয় না। বরং অন্যান্য সময়ে চা–পাতার ভাল ফলন হয়। তাই দেশের নানা প্রান্তে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কিছুদিন চা–বাগান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিচ্ছে টি বোর্ড। কয়েক বছর ধরে এমনই নির্দেশ এসেছে। কিন্তু দু’দিন আগে কলকাতায় কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকে চা শিল্পের একাংশ এই নির্দেশ নভেম্বর মাসের মধ্যে কার্যকর করার প্রস্তাব দেয়। এই বিষয়ে আগামীকাল, সোমবার বড়–ছোট এবং সংগঠিত ক্ষেত্রের বাগানের চাꦚ চাষিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে টি বোর্ড।
এদিকে শীতে কাজ না করলে সংসার চলবে কেমন করে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চা–বাগানের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের বক্তব্য, শীতকালে চা গাছে ভাল পাতা আসে না। তখন চা–গাছের পাতা ছাঁটাই বা কারখানা রক্ষণাবেক্ষণের উপর জোর দেওয়া হয়। কিন্তু আবহাওয়া বদলের জেরে শীতকাল কিছুটা পিছিয়ে যাওয়ায় ডিসেম্বর মাসেও চালু থাকত বাগানগুলি। তাতে কিছু রোজগার হতো চাষিদের। কিন্তু শীতে নিম্নমানের চায়ের জোগান কমাতে টি বোর্ড একমাস চা–বাগান বন্ধের নির্দেশ দেয়। এই বছরও টি বোর্ড জানায়, গত ১১ ডিসেম্বর তারিখের পরে দার্জিলিং–সহ কয়েকটি জায়গায় আর চা–পাতা তোলা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্স–তরাই এ🥃বং বিহারের চা–বাগানে সেই সময়সীমা ছিল ২৩ ডিসেম্বর।
অন্যদিꦕকে এই নির্দেশ অনেকে শুনেছে। আবার অনেক শোনেন♐ি। আসলে চাষিদের একটা চাপ সহ্য করতে হয়েছে চা–বাগানগুলিকে। শীতে যদি চা–পাতা না তোলে তাহলে মজুরি পাবে না। মজুরি না পেলে চাষিদের সংসার চলবে না। কিন্তু টি বোর্ডও নিম্নমানের চা–পাতা নিতে রাজি নয়। এই আবহে আবার মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকে চা শিল্পের সঙ্গে জড়িত কিছু মানুষজন ৩০ নভেম্বর তারিখের মধ্যে চা–বাগান বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছেন। তাতে আরও বিড়ম্বনা বেড়েছে চাষিদের।
আরও পড়ুন: ‘ℱপিংপং বলের মতো অবস্থায় কাজ করা যায় না’, সুর চড়ালেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ
এই পরিস্থিতিতে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। চাষিরা নভেম্বর মাসে চা–বাগান বন্ধ হোক চান না। আর বাগান মালিক বা টি বোর্ড সে🐲টাই চায়। উৎসবের আবহে হাতে টাকা থাকে না চাষিদের হাতে। তাই বাগান তখন খোলা থাক তাঁরা চান। আর তখন নিম্নমানের চা পাতা ফলন হয়। যা নিতে রাজি নয় টি বোর্ড। এমন আবহে শেষ পর্যন্ত কোনদিকে রায় আসবে সেটাই এখন দেখতে চায় চাষিরা। তখন চা তৈরির ক্ষেত্রে পাওয়া বর্জ্🍌য বাড়তি পরিমাণে মেশানোর প্রবণতার উপর কঠোর নজরদারি জরুরি।