বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানকে মাদক খাইয়ে তৃণমূলে যোগদান করানোর অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার এই ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর বিধানসভার কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের। মাদকের ঘোর কাটলে পঞ্চায়েত প্রধান রতিকান্ত দাস তৃণমূলে যোগদানের কথা অস্বীকার করে ভিডিয়ো জারি করেন। এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন রাজ্যের ব꧟িরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে দাবি করে তৃণমূল। একটি ভিডিয়োয় দেখা যায় পঞ্চায়েত অফিসে নিজের চেয়ার🧜ে বসে প্রধান রღতিকান্ত দাস। তার সামনে কেউ একজন তৃণমূলের একটি পতাকা ধরে রয়েছেন। রতিকান্তবাবুর মুখ ভাবলেশহীন। পাশে বসে তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ঘোষণা করেন, তৃণমূলে যোগদান করেছেন রতিকান্তবাবু। এই নিয়ে শোরগোল শুরু হতে শুক্রবার রাতেই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেন রতিকান্ত দাস। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় শুক্রবার সকাল থেকে তিনি তাঁর পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিলেন। বেলা ৩টে নাগাদ পঞ্চায়েত অফিসে আমি খাবার খেতে বসি। তখন কেউ একটা আমাকে কোল্ড ড্রিঙ্ক খেতে দেয়। সেই কোল্ড ড্রিঙ্ক খেয়ে আমি বেহুঁশ হয়ে যাই। তখন আমার সামনে তৃণমূলের কয়েকজন নেতা দলের পতাকা রেখে বলে যে আমি তৃণমূলে যোগদান করেছি।
সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্🍨ট করে শুভেন্দুবাবু জানিয়েছেন, ঘটনার পর রতিকান্তবাবুকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হলে বাড়ি ফেরেন তিনি। তৃণমূলকে তীব্র ভর্ৎসনা করে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘তৃণমূলের দুর্বৃত্তায়ন সম্পূর্ণ।
এদের এমনই দুরবস্থা যে গ্রামগঞ্জে মানুষ চোরদের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে, বিরোধী দল বিজেপির উপর আস্থা রেখে পঞ্চায়েতের দায়িত্ব চোরদের হাতের থেকে নিয়ে বিজেপির হাতে তুলে🐈 দিয়েছেন সেখানেও তৃণমূলের চোরেরা গণতন্ত্র মেনে নিতে না পেরে, যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা পেতে চায় যাতে তারা ক্ষমতায় থেকে নিজেদের চৌর্যবৃত্তির ব্যবসাটা চালিয়ে♍ যেতে পারে।
শুধু তাই নয় প💙্রশাসনের একটা অংশ, বিডিওরাও তৃণমূলের সাথে এই অনৈত♐িক যোগসাজশে যুক্ত।'