গঙ্গার ধারে ফুরফুরে হাওয়া গায়ে লাগিয়ে ঘুরছিল তিনজন। এই তিনজনকে চেনেন না চন্দননগর গোস্বামীঘাট এলাকার মানুষজন। এরা কারা? অচেনা মুখ ইতিউতি ঘোরাফেরা করছে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় মানুষজনের। তখন তাঁরা পুলিশে খবর দেন। চন্দ𒊎ননগর পুলিশ কমিশনারেটের অফিসাররা এসে জিজ্ঞꦐাসাবাদ করতেই বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে পড়ল।
কারা এই তিনজন যুবক? পুলিশ সূত্রে খবর, চন্দননগর থেকে গ্রেফতার হয়েছে বিহারের বেগুসরাইয়ে সাংবাদিক খুনে অভিযুক্ত তিনজন যুবক। এরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা। ২০ মে বিহারের বেগুসরাইয়ে খুন হন তরুণ সাংবাদিক সুভাষ মাহাতো। অভ𓂃িযোগ ওঠে, বালি মাফিয়াদে🐻র বিরুদ্ধে লাগাতার খবর করে যাচ্ছিলেন তিনি। তাই তাঁকে খুন হতে হয়। এই খুনের ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল রোশন কুমার, প্রিয়াংশু কুমার এবং সৌরভ কুমার। চন্দননগরে এসে গা–ঢাকা দিয়েছিল।
কী বলছেন ডেপুটি কমিশনার? শুক্র♛বার চন্দননগর থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ডিসি চন্দননগর বিদিত রাজ বুন্দেশ বলেন, ‘গতকালচন্দননগর থানায় খবর আসে গঙ্গার🌌 ঘাটে তিনজন অপরিচিত যুবক ঘুরে বেড়াচ্ছে। ဣচন্দননগর গোস্বামী ঘাট সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তিনজনের কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে পুলিশের জেরায়। বেরিয়ে আসে বিহারের বাসিন্দা তারা’।
কী করে বেরিয়ে এল আসল তথ্য? প্রথমে এই তিনজনকে আটক করা হয়। জেরায় তারা মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানায়। কিন্তু লাগাতার প্রশ্নে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তখনই বেরিয়ে আসে তারা বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা। তখন বিহারের বকরি থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে চন্🔴দননগর থানার পুলিশ। এই তিনজন সম্পর্কে জানতে চাইলে সেখান থেকে মেলে বিহারের সাংবাদিক সুভাষ কুমার খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এরা। তিনজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। আজ, শুক্রবার বকরি থানার দুই পুলিশ আধিকারিক চন্দননগর এসে পৌঁছেছেন।