উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দশের মেধা তালিকায় স্থান পেলেন আরও তিন জন। রিভিউ, স্ক্রুটিনির পর এই তিন জনের নামের সংযোজন হয়েছে মেধাতালিকায়। নতুন যে তিনজন মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তারা যথাক্রমে অষ্টম, নবম এবং দশম স্থানে উঠে এসেছেন। এর মধ্যে আবার꧅ একজনের ৭ নম্বর বেড়েছে। এরফলে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম দশের তালিকায় স্থান পেলেন মোট ৭৩ জন। শুধু তাই নয় রিভিউ, স্ক্রুটিনির পর অনেকের নম্বর আবার ৩০ থেকে ৬০ পর্যন্ত বেড়েছে।
আরও পড়ুন: স্ক্🌼রুটিনির পরে উচ্চমাধ্যমিকের মেধাত🔯ালিকায় নরেন্দ্রপুরের আরও ৪ জন, সবমিলিয়ে ১০!
মেধা তালিকায় নতুন যে তিনজনের নামের সংযোজন হয়েছেন তারা হলেন- সোহম সাহা, প্রাঞ্জন ঘোষ এবং সাত্যকী সিনহা। এরমধ্যে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা হাইস্কুলের ছাত্র হলেন সোহম সাহা। উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় তিনি ৪৮২ নম্বর পেয়েছিলেন। পরে তিনি রিভিউ করেন। তাতে তার আরও ৭ নম্বর বাড়ে। ফলে বর্তমানে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হল ৪৮৯। এই অবস্থায় নম্বর বাড়তেই তিনি একেবারে অষ্টম স্থানে উঠে এলেন। প্রাঞ্জন ঘোষ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের ဣছাত্র। তিনি উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর পেয়েছিলেন ৪৮৪ নম্বর। তবে রিভিউ করার পর তাঁর আরও ৪ নম্বর বাড়ে। তিনি জায়গা করে নিয়েছেন নবম স্থানে। অন্যদিকে মালদার এসি ইনস্টিটিউশনের সাত্যকী সিনহার এক নম্বর বেড়েছে। আগে তিনি ৪৮৬ নম্বর পেয়েছিলেন, তা বেড়ে হয়েছে ৪৮৭ নম্বর। ফলে তিনি দশম স্থানে উঠে এসেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়েছিল। সেই সময় সেরা দশের জায়গা করে নিয়েছিলেন ৫৮ জন পরীক্ষার্থী। পরে তৎকাল রিভিউ, স্ক্রুটিনির পর ফল প্রকাশ হয়। তাতে মেধা তালিকায় স্থান পায় আরও ১২ জন। সেই হিসেবে সেরা দশের সংখ্যা বেড়ে হয়েছিলꦿ ৭০। আর এখন তিনজন বেড়ে যাওয়ায় হল ৭৩ জন। এছাড়াও আরও অনেক পরীক্ষার্থীর সাধারণ স্ক্রুটিনির পর নম্বর বদল হয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ২৬ হাজার ৪৬৮ জন পরীক্ষার্থী ৬১ হাজার ১৪৮ টি বিষয়ের জন্য রিভিউ এবং স্ক্রুটিনির আবেদন করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে নম্বর সংশোধন হয়েছে ১৩, ৫৮৯ টি বিষয়ে। &𝕴nbsp;তবে তৎকাল, সাধারণ রিভিউ স্ক্রুটিনিতে যেভাবে নম্বর পরিবর্তন হয়েছে তাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। সে ক্ষেত্রে একাধিক গলদ সামনে এসেছে। কারণ একটি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ৬৩ নম্বর পাওয়া এক পড়ুয়ার নম্বর বদলে তিন হয়ে গিয়েছিল। রিভিউয়ের পর দেখা যায় তার ৬০ নম্বর বেড়েছে। আবার এক ক্ষেত্রে এক পড়ুয়ার নম্বর উল্টো হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ ওই পড়ুয়া ৬২ পেয়েছিলেন কিন্তু, তা উল্টে হয়ে ছিল ২৬।&n🐓bsp;
এমন অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদের সভাপতি চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য। তিনি জানান, সামান্য নম্বর বাড়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। সেটা হতেই পারে। কিন্তু, কোনও কোনও বিষয়ে দেখা যাচ্ছে যে🔜 ৫০ থেকে ৬০ নম্বর পর্যন্ত বেড়েছে। এটা অস্বাভাবিক ঘটনা। সেক্ষেত্রে প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষকদের নিশ্চয়ই গলদ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। আলোচনা করে প্✤রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।