আরাবুল ইসলাম মানেই একটা বিতর্কের সূত্রপাত। গরমাগরম ভাষণ থেকে শুরু করে হুমকি—এসব সবাই শুনেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম মানেই যেন ভাঙড়ে হিংসা। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে দেখা গেল উলটপুরাণ। অশান্তির ক্ষেত্র ছেড়ে এবার শান্তির বার্তা দিতে দেখা গেল তাঁকে। তাই অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এ কোন আরাবুল? যে মাঠে–ময়দানে বুঝে নেওয়ার কথা বলেন, পুলিশ না থাক🐼লে পিঠের চামড়া থাকত না বলে হুমকি দেন সেখানে তাঁকেই বলতে শোনা যাচ্ছে, মারপিঠ করার দরকার নেই।
এদিকে যে আরাবুল ইসলাম নির্বাচনের ময়দানে বিতর্কিত মন্তব্য করে এবং অশান্তির আবহ তৈরি করে খবরের শিরনামে থাকে সেই তিনিই কিনা বলছেন, মারপিঠ করার দরকার নেই! এতে অনেকে আশ্চর্য হলেও বাস্তবে এমনটাই🍎 ঘটেছে। ভাঙড়ের মাঝেরহাট গ্রামে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর পাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। তাতেই তেতে ওঠে ভাঙড়। তখন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উদ্ꦺদেশে আরাবুল ইসলাম বার্তা দেন, ‘মারপিটের দরকার নেই। দেওয়াল লিখন নিয়ে ভাঙড়ে যেন কোনও অশান্তি না হয়।’
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল দখল করার অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি ভাঙড়ের মাঝেরহাট 𝓀গ্রাম অর্থাৎ আইএসএফ বღিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর ভাড়া করা বাড়ির এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল দেওয়াল দখল করার কর্মসূচি পালন করছে। এদিন মাঝেরহাট এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের ‘ভোট ফর তৃণমূল’ লেখা দেওয়াল মুছে দিয়𒉰ে জোর করে ‘ভোট ফর আইএসএফ’ লিখে দেয় আইএসএফের কর্মীরা। আর এখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত।
ঠিক কী বলেছেন আরাবুল? এই ঘটনার পর থেকে ফুঁসছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। এই খবর আরাবুলের কানে পৌঁছে যায়। আর তারপরই তৃণমূল কংগ্রেসে নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি। একটা জায়গায় দেওয়াল লিখে আইএসএফদের যদি শান্তি হয় ওরা করুক। তবে আমাদের ছেলেরা তৈরি আছে। আমি বলেছি মারপিঠ করার দরকার নেই। গণ্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আমি বলেছি একটা দেওয়ালকে কেন্দ্র করে সারা ভাঙড়ে যাতে কোন অশান্তি না হয়।’ আরাবুলের এমন বক্তব্যে হ🐈তবাক অনেকেই। যদিও আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘২০২১ সালে যে দেওয়াল আমরা লিখেছিলাম সেই দেওয়ালেই আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে লিখব। বাড়ি মালিকের অনুমতি নিয়েই দেওয়াল লিখছি।’