প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে 'দাড়িওয়ালা' এবং বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্রকে 'হেরো মাল' বলে সম্বোধন করার অভিযোগ উঠল রাজ্যের মন্ত্রী তথ তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে। আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে হাড়োয়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রবিউল ইসলামের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন ফিরহাদ। সেখানেই তিনি সন্দেশখালি ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। সেই ভাষণের একটা অংশের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ফিরহাদকে পালটা আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। (আরও পড়ুন: 'প্রতি মাসে ৯-১০ কোটি...', অবশেষে কালীপুজোর পর ডিএ বাড়ল র♏াজ্য সরকারি কর্মীদের)
শুভেন্দু অধিকারী ফিরহাদ হাকিমের ভিডিয়ো (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, 'অত্যন্ত আপত্তিকর! রেখা পাত্রকে অপমান করার কোনও অধিকার নেই মমতা সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। একজন মহিলাকে উল্লেখ করার সময় তিনি জঘন্য শব্দ 'মাল' উচ্চারণ করছেন। এর জন্যে কঠোর ভাষায় তাঁর তিরস্কার করা উচিত। একজন মহিলাকে সম্বোধন করার সময় এই ধরনের অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করার জন্য আইনের আওতায় পদক্ষেপ করা উচিত তাঁর বিরুদ্ধে। শ্রীমতী রেখা পাত্র এসসি পাউন্ড্র-ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের অন্তর্গত একজন মহিলা। এই অপমান শুধু তাঁর প্রতিই নয়, বরং এটা তাঁর সমগ্র সম্প্রদায়ের প্রতি। এটা আপত্তিকর, অবমাননাকর। এছাড়া, একজন ব্যক্তি যিনি মহিলাদের প্রতি এমন অবজ্ঞাপূর্ণ হতে পারেন, তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিও অসম্মানজনক হবেন, এটাই আশা করা যায়। তাঁর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রায়শই তা করে থাকেন।' এই পোস্টে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, জাতীয় মহিলা কমিশন, জাতীয় তফসিলি জাতি জনজাতি কমিশনেকে ট্যাগ করে ফিরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান শুভেন্দু অধিকারী। (আরও পড়ুন: প্রথমদিনে মাত্র ১২% সাবস্ক্রিপশন, 'গ্রে মার্কেটে﷽' সুইগির ꦏশেয়ারের দাম এখন কত?)
এদিকে এই বিষয়ে মুখ খোলেন বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, 'আমাকে যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন, সেটা খুবই নিন্দনীয়। অপমান করা হয়েছে,𒀰 তা আমার ম💟তো খেটে খাওয়া পরিবারের মেয়েকে অপমান করা হয়েছে। এই অপমান গোটা সন্দেশখালির মা-বোনেদের অপমান।'
ভিডিয়োতে কী বলতে শোনা গিয়েছে ফিরহাদকে?
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা যায়, 'সন্দেশখালিতে আমার এক বন্ধু ছিল। তাঁর মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ক্যানিংয়ে। সেই বিয়ে ভেঙে দেয় ছেলের বাড়ি। তারা বলে, সন্দেশখালি থেকে মেয়ে আনলে পাড়ায় লোকেরা বলবে, এই মেয়ে হয়ত পবিত্র নয়। বাপটা হাউ হাউ করে কাঁদছে, মাটা হাউ হাউ করে কাঁদছে। আর কয়েকদিন আগে এখানে এসেছিলেন এক দাড়িওয়ালা। আরে নামটা বলেন না... দাড়িওয়ালার... নামটা হল নরেন্দ্র মোদী। কাঁদছিলেন... মেরে সন্দেশখালিকে মা, বেহেন... কী কান্না বাবা! আপনাদের এখানে প্রার্থী দিয়ে দিল সন্দ🅘েশখালি থেকে। সেই ভদ্রমহিলা কোথায়? এই তো হাজি নুরুলের বিরুদ্ধে কেস করেছিল। হেরে গেল। হেরো মাল। কয়েক লাখ ভোটে হেরে গেল। তারপর কেস করল। কিন্তু বিজেপি মানুষের পাশে আসবে না।'