তাঁর বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছিল। আর তল্লাশি করে মিলেছিল ৪১ লক্ষ টাকা। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সেটা বেশ চাঞ্চল্য ফেলে দেয়। তবে এখানে থেকে থাকেননি ইডি অফিসাররা। বুধবার তাঁকে ডেকে তলব করেছে ইডি। কিন্তু ইডি ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না তিনি। হ্যাঁ, তিনি রা💯জ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় অফিসারদের আসা একটা জনমানসে প্রভাব ফেলে। বিষয়টি নিয়ে বেজায় চটেছেন মন্ত্রীমশাই। কারণ তাঁকে এলাকার মানুষজন সৎ, পরোপকারী বলেই জানেন। সেখানে এই কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানা তাঁকে কালিমালিপ্ত করার কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।
ইডি এবার তাঁকে তলব করেছে। কিন্তু কলকাতায় ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে যাবেন না মন্ত্রী বলেই সূত্রের খবর। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এখন নির্বাচনী ༺প্রচারে ব্যস্ত। তাছাড়া তাঁর দাবি অনুযায়ী, তিনি কোনও অন্যায় কাজ করেননি। সুতরাং ইডির ডাকে সাড়া তিনি দেবেন না বলেই জানা য♛াচ্ছে। মন্ত্রীর বদলে ইডি দফতরে যাবেন তাঁর প্রতিনিধি অর্থাৎ আইনজীবী। সূত্রের খবর, চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় মন্ত্রীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সেখান থেকে কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন অফিসাররা। তাই চন্দ্রনাথকে তলব করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিদ্বন্দ্বী না পেয়েও প্রচা﷽রে নামছেন অভিষেক𓆏 বন্দ্যোপাধ্যায়, ডায়মন্ডহারবারে বুধে পা
এদিকে চারদিন আগে বোলপুরে চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত তল্লাশি চলে। সূত্রের খবর,𓂃 মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৪১ লক্ষ টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আর চন্দ্রনাথের একটি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেন অপিসাররা। সেই ফোন থেকে তথ্য পাওয়ায় তা যাচাই করতে চায় ইডি। তাই ডেকে পাঠানো হয় চন্দ্রনাথকে। কারও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হলে সেই ব্যক্তিকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁর সামনেই ফোন থেকে তথ্য উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, বুধবার সল্টলেকের ইডি কার্যালয়ে যাবেন না চন্দ্রনাথ।
অন্যদিকে ইড𒁏ি সূত্রে খবর, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে চন্দ্রনাথের নাম উঠে আসে। বলাগড়ের বহিষ্কৃত ত🌳ৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হন। তার সূত্র ধরেই মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে নেমে কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই তল্লাশি অভিযানের সময় একটি রেজিস্টার খাতা তদন্তকারীদের হাতে আসে। সেখানে ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা লেখা ছিল। চন্দ্রনাথের মাধ্যমেই ১০০ জন চাকরিপ্রার্থী কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এমনই তথ্য আছে ইডির কাছে। কুন্তল–চন্দ্রনাথের মধ্যে একজন মিডলম্যান ছিল। তাঁকে জেরা করতেই চন্দ্রনাথের নাম উঠে আসে। তবে সত্য–মিথ্যা সময় বলবে।