তৃতীয়বার বিপুল জ𓆏নসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই দলের নেতা–কর্মী থেকে সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। এই উত্তেজনার বশেই আবাসনের ভিতরেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের কার্যালয় তৈরি হয়ে গেল। তার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সাঁকরাইলের চাঁপাতলা। পরিস্থিতিত🧜ে এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বিধায়ক প্রিয়া পালের উপস্থিতিতেই সেই কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
বচসা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছতে পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠে। তখন খবর দেওয়া হয় সাঁকরাইল থানায়। প🐠ুলিশ গিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু তারপরও সেখানে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। যদি পরে আটক প্রত্যেককেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের দাবি, আবাসনের মালিকের অনুমতি নিয়♚েই এই কার্যালয় খোলা হয়েছিল।
এদিন চাঁপাতলার একটি আবাসন💧ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক প্রিয়া পালের একটি কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। বিধায়কের অভিযোগ, বিজেপির স্থানীয় কর্মীরা ওই কার্যালয়ে গিয়ে চড়াও হন। কার্যালয় খোলা নিয়ে আপত্তি তোলেন। এমনকী বিধায়ক যখন ওই নতুন কার্যালয়ে যান, তখন তাঁকে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ তোলেন প্রিয়া। তখনই তিনি সাঁকরাইল থানায় স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার একটি আবাসনের ছাদে জোর করে বিজেপি নেত্রীর ভাই পার্টি অফিস করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বিষয়টি নিয়ে টালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁরা পাশে থাকায় সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আর সাঁকরাইলে ওই আবাসনেরই একটি ফ্ল্যাটে থাকেন চাঁপাতলা বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুমনা সেনগুপ্ত। তিনিই ওই কার্যালয়টি তৈরিতে আপত্তি তোলেন বলে অভিযোগ। সুমনার দাবি, বেআইনিভাবে ওই আবাসনের গ্যা𓄧রাজের ভিতরে জোর করে তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় কার্যালয় করতে চাইছিল। তাতেই আবাসিকরা বাধা দেন।
আর বিধায়ক প্রিয়া পﷺ🐬াল জানান, আবাসনের মালিকের অনুমতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েই এই কার্যালয় করা হয়েছে। জোর করে কিছুই করা হয়নি। সাধারণ মানুষের জন্য বিজেপি কাজ করতে দিতে চাইছে না। সে কারণেই বাধা দিচ্ছে।