বুধবার মালদা শহরে তৃণমূল যুব কংগ্রেস আয়োজিত কেন্দ্র–বিরোধী মিছিল পরিণত হল শুভেন্দু অধিকারী–বিরোধী মিছিলে। কৃষিবিল, মূল্ꩵযবৃদ্ধি–সহ নানা জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী স্লোগানে পাশাপাশি আওয়াজ উঠল— ‘মীরজাফর, গদ্দার, বিশ্বাসঘাতক শুভেন্দু অধিকারী দূর হঠো’। একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর দাবি করলেন, আগামী 🔥বিধানসভা নির্বাচনে মালদার সবকটি আসন তৃণমূলেরই দখলে থাকবে।
মালদা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস আয়োজিত এদিনের মিছিলের জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মালদা শহর। অগণিত তৃণমূল কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে মিছিল শেষে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনেﷺ আয়োজন করা হয় সভার। সেখানে মৌসম বেনজির নুর ছাড়াও হাজির ছিলেন প্রাক্তন দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী 🐬ও সাবিত্রী মিত্র।
একসময় শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মৌসম বেনজির নুর। এদিন সভামঞ্চে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে মৌসম বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে আমরা দল করি। কিন্তু বেশ কিছু সুবিধাবাদী নেতা–নেত্রী আছেন, যাঁরা সময় বুঝে অন্য দলে ঝাঁপ মারেন। এরকম নেতা–নেত্রীর কোনཧও প্রয়োজন আমাদের নেই।’ মালদা জেলা তৃণমূলে কোনও অন্তর্দ্বন্দ্ব নেই বলেই এদিন দাবি করে মৌসম বেনজির নুর বলেন, ‘আজকের এই মহামিছিল প্রমাণ করে দিয়েছে যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মালদার সবকটি আসন তৃণমূলের দখলে থাকবে।’
এদিকে, বিজেপি–কে পরামর্শ দিয়ে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চৈতালী ঘোষ সরকার বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর মতো ব্যক্তিদের নিয়ে সাবধানে ঘর করবেন। কারণ, এরা যে কোনও সময় ছোবল মারতে পারে।’ শুধ🌞ু শুভেন্দু নয়, এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি–তে যোগ দেওয়া গাজোলের বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসকেও আক্রমণ করেছেন মালদা তৃণমূলের নেতৃত্বরা।