দক্ষিণবঙ্গের তাপপ্রবাহ শুরু হতেই একাধিক স্কুলের পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার খবর পওাওয়া গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে। আগামীকাল থেকে রাজ্য জুড়ে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘোষণার পরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করেছে বিজেপি। এবার নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে বিরোধ দেখা গেল।আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সমীর ঘোষ মনোরম আবহাওয়াতেও উ💧ত্তরবঙ্গে গরমের ছুটি নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এই আবহাওয়াতে স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার কোনও মানে হয়না। সামনে পরীক্ষা রয়েছে।’ উত্তরবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের তিনি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চললেও উত্তরবঙ্গে গরমের সেরকম প্রভাব নেই। গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখীর প্রভাবে উত্তরবঙ্গে কার্যত হিমেল হাওয়া বইছে। তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে অনেকটাই। শনিবার উত্তরবঙ্গের অনেক স্কুলেই পড়ুয়াদের কার্যত সোয়েটার পড়ে স্কুলে যেতে দেখা গিয়েছে। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ প্রথম থেকেই উত্তরবঙ্গে গরমের ছুটি নিয়ে বিরোধিতা করে আসছেন। তাঁর বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ দু বছর ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। ফলে গরমের ছুটি এগিয়ে নেওয়ায় পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়বেন। তাঁর দাবিকে কার্যত সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে উত্তরবঙ্গের স্কুলে গরমের ছুটি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানি🎉য়েছিলেন শঙ্কর ঘোষ। এবার খোদ তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের নেতা রাজ্য স♐রকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করলেন।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেছেন, ‘কলকাতার ছুটির সিদ্ধান্ত উত্তরবঙ্গের সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না। পড়ুয়ারা এখন ক্লাস করতে চাইছে।’ যদিও এর বিরোধিতা করেছেন আলিপুর জেলা তৃণম🧸ূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত দু'রকমের হতে পারেনা। সরকারের উপরে এ বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া উচিত। দাবি করা যেতে পারে। ত👍বে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’