রাজ্যে ফের বাজ পড়ে মৃত্যু। জঙ্গলে জ্বালানির কাঠ কুড়োতে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল দুই মহিলার। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৩ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির তরকাবাইদ গ্রামের কাছে একটি জঙ্গলে। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে অমরকানন গ্রামীণ হাসপাতালে। মৃতদের নাম হল চায়না লꩲোহার (৬০) এবং মায়া লোহার (৩৮)। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে মৃতদের পরিবারে।
আরও পড়ুন: বাজ পড়ল এক ব্যক্তির উ☂পর! পুরোটাই ধরা পড়ল 🦄ভিডিয়োয়, দেখে নিন সেটি
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত এবং মৃত মহিলারা প্রত্যেকেই গঙ্গাজলঘাটির তরকাবাইদ গ্রামের বাসিন্দা। উনুন জ্বালানোর জন্য তাঁদের প্রায় প্রতিদিন গ্রামের অদূরে থাকা একটি জঙ্গল থেকে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করতে হয়। আজ সকালেও তাঁরা ওই জঙ্গলে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করে বাড়িতে ফেরার সময় ঘটে বিপত্তি𓆉। আচমকা বর্জ্য বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সময় ওই মহিলারা বৃষ্টির জল থেকে বাঁচতে একটি গাছের তলায় আশ্রয় নেন। তাতেই ঘটে বিপত্তি। ওই গাছের উপরে বাজ পড়লে সঙ্গে সঙ্গে দুজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বাকিরা বজ্রপাতের আঘাতে আহত হন। তাঁরা কোনওভাবে গ্রামে পৌঁছে বাসিন্দাদের খবর দিলে স্থানীয়রা সেখানে পৌঁছে মহিলাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, আহত ৩ জনকে অমরকানন গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তামলি♊ লোহার নামে বজ্রাঘাতে আহত এক মহিলা জানান, ‘আমরা পাঁচজন মিলে জঙ্গলে রান্নার জন্য কাঠ কুড়োতে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার সময় বৃষ্টি নামে।🌃 তখন আমরা পাঁচজনে একটি গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলাম। তখনই বাজ পড়ে। বজ্রপাতে দুজন সেখনেই মারা যান।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর এব𝔍ং ঝাড়গ্রাম জেলায় বাজ পড়ে দুই নাবালিকা-সহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে জমিতে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানায় পাথড়া অঞ্চলের কাটনিমারো গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছিল। চিত্তরঞ্জন মাহাতো নামে ওই ব্যক্তি জমিতে বীজ ফেলা শেষে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় হঠাৎ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়। তখন তাঁর ওপর বাজ পড🦹়ে।
অ🐻ন্য দিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকায় চার জনের মৃত্যু হয় বজ্রাঘাতে। এদের মধ্যে নীলমণি হাঁসদা (১৫) এবং পানি মুর্মু (১৪) নামে দুই নাবালিকাও ছিল।