লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর মালদা জেলায় তৃণমূলের বিদ্রোহ রোজই প্রকাশ্যে চলে আসছে। যেমন রবিবার এল মালতীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কান্ডারণে। সেখানে তৃণমূল কার্যালয়ের গায়ে দেখা গেল তৃণমূলের🅷ই জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সির বিরুদ্ধে পোস্টার। এই ঘটনায় মালতীপুর জুড়ে শোরগোল পড়েছে। এই পোস্টারের পিছনে দলেরই কেউ রয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূল। আবদুর রহিম বক্সি বলছেন, এটা নোংরামি।
আরও পড়ুন - 'ভ🌼োটে জিতে ২৩৯ টাকার রিচার্জের সুযোগ দি𝓡চ্ছেন মমতা', সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই বিপদ
পড়তে থাকুন - 'সাড়ে ৮ ঘণ্টা লেটে শিয়ালদায়ꦐ এল লো🍰কাল', মালপত্র নিয়ে লাইনে রাজধানীর যাত্রীরা
মালতীপুরেরই বিধায়ক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি। মালতীপুর যে লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সেই মালদা উত্তরে এবারও বিজেপি প্রার্থী খ🦩গেন মুর্মুর কাছে হেরেছে তৃণমূল। প্রাক্তন IPS প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেও বৈতরণী পার করতে পারেনি তৃণমূল। তার পরই জেলা জুড়ে ছড়িয়েছে ক্ষোভ। দলের জেলা নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার হয়েছেন দলীয় কর্মীরা। পালটা দলীয় কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করছেন জেলা সভাপতির অনুগামীরা।
এই নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোলের মধ্যেই রবিবার সকালে কান্ডারণে তৃণমূলের পার্টি অফিস, সামসি কলেজসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় আবদুর রহিম বক্সির বিরুদ্ধে পোস্টার দেখা যায়। পোস🉐্টারের একেবারে ওপরে লেখা, মা*বাজ দুর্নীতিবাজ। তার নীচে রয়েছে আবদুর রহিম বক্সির ছবি। একেবারে নীচে লেখা, ‘চাকরির নাম করে টাকা তোলা মালদা TMC জেলা সভাপতিকে হটাও। মালদা জেলা TMCকে বাঁচাও।’
পোস্টার চোখে পড়তেই সাত সকালে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তৃণমূলের স্থানীয় অ꧋ঞ্চল সভাপতি প্রকাশ মণ্ডল বলেন, ‘জেলা সভাপতির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য দলেরই কেউ এটা করেছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।’
আবদুর রহিম বক্সি বলেন, ‘কাপুরুষ ছাড়া কেউ এ কাজ করে? আমাকে এলাকার লোক চেনে। পোস্টার ম🐲েরে আমার ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করা যাবে না।’
আরও পড়ুন - পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁছে ༒দিতে মরিয়া রাজ্য সরকার
লোকসভা ভোটে যে ২টি জেলা তৃণমূলের ফল সব থেকে খারাপ হয়েছে তার মধ্যে একটি মালদা। এই জেলার ২টি আসনের একটিও এবারও জিততে পারেনি তৃণমূল। মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। মালদা উত্তর কেন্দ্রেও বিভিন্ন বিধানসভায় বিপুল ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এই নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘মালদায় তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দলের অন্ত নেই। নীতি - আদর্শ বলে তো কিছু নেই, করে কম্মে খেতে𓆏 এসেছে। এসব তো হবে🥂ই।’