অবশেষে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল। ১ নভেম্বর থেকে টানা সাত মাস আংশিক বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু। সেক্ষেত্রে ট্রাফিক অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বিটি রোড দিয়ে তখন গাড়ি চলাচল করবে বলে জানানো হয়েছে। আর কেবিল, বিয়ারিং যাবতীয় সরাবে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার (এইচআরবিসি)। আর এই বিপুౠল সময়ে হ্যাপা পোহাতে হবে জনগণকে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে মেরামত করার কাজ চলাকালীন যানবাহন থেকে শুরু করে হাঁটাচলা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। সুতরাং কলকাতা থেকে হাওড়ার মধ্যেই এই সংযোগকারী সেতু দিয়ে যাতায়াত কঠিন হবে। কলকাতা এবং হাওড়ার মধ্যে সংযোগকারী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুতে সহজেই উঠে পড়া যাবে না। তাতে সাধারণ মানুষ বেশ সমস্যায় পড়বেন।
এদিকে যে ভারী লরিগুলি এই সেত𒐪ুর উপর দিয়ে যাতায়াত করে সেগুলিরও রুট পাল্টে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে এজেসি বোস রোড, ডিএল খান রোডের দিক থেকে আসা লরি ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। বিদ্যাসাগর সেতুতে এই পথ ধরেই আসে ভারী লরিগুলি। কেপি ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, নেতাজি স্ট্যাচু, গভর্ণমেন্ট প্লেস ইস্ট, ধর্মতলা, সিআর অ্যাভিনিউ, ভূপেন বোস অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়, টালা ব্রিজ, বিটি রোড, ডানলপ এবং নিবেদিতা সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খ💛বর। দ্বিতীয় হুগলি সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন। এই সেতুর সংস্কার করার কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই কাজ শুরু হবে। কাজ শেষ হতে ৭ মাস সময় লাগবে।
অন্যদিকে রাজ্য প্রশাসন এবং কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তবে লরির যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ হয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ আপত্তি তুলেছে। তাই প্রথম দফায় দুটি রাস্তা বন্ধ করা হবে বিদ্যাসাগর সেতুতে। বাকি দুটি💎 খোলা রাখা হবে যাতায়াতের জন্য। এই দুটি খোলা পথও বন্ধ হয়ে যাবে চূড়ান্ত মেরামতির সময়। তাই বিকল্প পথের পরামর🃏্শ দেওয়া হয়েছে মালবাহী গাড়িগুলিকে। এই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ৬টি লেনের মধ্যে মাত্র দুটি লেন যান চলাচলের জন্য খোলা থাকবে। এটাই হল বিকল্প পথ। এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন ভারী যানবাহনগুলিকেও দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে উঠতে দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তাই বিকল্প পথের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পুলিশের এফআইআরের আবেদন খারিজ, স্বস্তিꦯ কলকাতা হাইকোর্ট🌳ে
আর কী জানা যাচ্ছে? কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এই ভারী যানবাহনগুলিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে উঠতে না দিয়ে সেগুলিকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ভিআইপি রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। তাতে হাওড়া হয়ে কলকাতায় আসা বা বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ভারী যানবাহনগুলিকে দক্ষিণেশ্বরের নিবেদিতা সেতু ব্যবহার করতে হবে। দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গেলেও তার পর আছে কালীপুজো। আবার কলকাতায় ꦡক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলাও থাকবে। সুতরাং দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে বড় সময় ধরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।