ফের সংবাদ শিরোনামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্প সার্নের আর্থিক বরাদ্দ আটকে গিয়েছিল এর আগে, সেই বরাদ্দ ফের পেতে চলেছে বিশ্বভারতী। ডিপার্টমেন্ট অফ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফের অর্থ অনুমোদন করবে গবেষণা খাতে, উপকৃত হবে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পদার্থের মৌলিক ধর্ম বা বিশ্ব সৃষ্টি রহস্য জানার যে গবেষণা চলছে সার্নের আওতায়, এই কর্মকাণ্ডের শরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা ꦅবিভাগের অধ্যাপক মানস মাইতি এবং তার কয়েকজন সহযোগী। প্রসঙ্গত বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই ২০২১ সাল থেকে আটকে যায় এই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ।
তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ইংরেজি বিভাগের কয়েকজন অধ্যাপককে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় এর প্রতিবাদ করেন পদার্থবিদ্যা অধ্যাপক মানস মাইতি, আর তারই মূল্য চোকাতে হয় তাকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড করে এই অধ্যাপককে। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় দফতর বিশ্ববিদ্যালয়কে এই প্রকল্পের অ🐟র্থ অনুদান বন্ধ করে দেয় বলে সূত্রের খবর। ফলে ২.৩ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় তথা পদার্থবিদ্যা বিভাগ। এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে আদালতেও যান মানসবাবু। এই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ কেন আটকে রাখা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে তা নিয়ে মামলা করেন তিনি।
অবশেষে আদালতের হস্তক্ষেপে এই সাসপেনশন বাতিল করে মানসবাবুকে কাজে ফেরাতে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। বরাদ্দের অর্থ যাতে পুনরায় চালু করা হয়, সেই বিষয়েও বলা হয়। এই প্রসঙ্গে মানুষ বাবু বলেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের খবর। বর্তমান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ, আগামীদিনে বিশ্ব দরবারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব বাড়বে।’ এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত কর্ম সচিব অশোক মাহাতো জানান, ‘আদালতের নি🌟র্দেশ মতই মানসবাবুকে কাজে ཧযোগাদানের জন্য আগেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। শুনেছি ভারত সরকার সার্ন প্রজেক্ট-এর অর্থের অনুদান দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।’ সব মিলিয়ে খুশির খবর বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিদ্যা বিভাগে। ফের সার্নের অর্থ অনুদান চালু হওয়ায় কাজও শুরু হতে চলেছে নতুন উদ্যমে।