বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন জঙ্গলমহল সফরে আছেন। গত দু’দিনে পুরুলিয়া–বাঁকুড়ার সভা করেছেন তিনি। আদিবাসী–জনজাতি এবং কুড়মিদের মধ্যে অশান্তি নয় বরং সৌভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য𝐆োপাধ্যায়। তবে ঝাড়গ্রামের সভায় কুড়মি সম্প্রদায়কে নিয়ে কোনও কথাই বললেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাই শোনা যায়নি কুড়মিদের নিয়ে রাজ্যের প্রস্তাবিত সমীক্ষার কথাও। কিন্তু আদিবাসীদের কথা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে। সামনে লোকসভা নির্বাচন। সেখানে আদিবাসীদের একটা বড় ভোটব্যাঙ্ক আছে।
এদিকে এখানে আসার আগে নবান্নে নানা জনজাতি এবং আদিবাসীদের নিয়ে বৈঠক করেছ🎐িলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভায় ডাক পান একাধিক জনজাতি সামাজিক সংগঠন। সাঁওতাল, মুন্ডা এবং ভূমিজ সামাজিক সংগঠনের ছ’জন প্রতিনিধি মঞ্চের দ্বিতীয় সারিতে বসেছিলেন। তবে কুড়মি সংগঠনের কেউ আমন্ত্রণ পাননি বলেই খবর। তবে সরকারি কুড়মি উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারপার্সন রথীন্দ্রনাথ মাহাতো এবং প্রাক্তন মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো ছিলেন। রথীন্দ্রনাথের কথায়, ‘কুড়মি সংগঠনগুলিকে কেন ডাকা হয়নি সেটা আমার জানা নেই।’ আর চূড়ামণি বলেছেন, ‘এটা প্রশাসনিক বিষয়।’
আরও পড়ুন: রাজ্যের স্কুলগ෴ুলি চলে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দখলে, অন্ধকারে পর্ষদ, 𒐪শিকেয় পঠনপাঠন
অন্যদিকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া𒁏র তিনটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের পরাজয়ের কারণ ছিল জনজাতি ও কুড়মি ভোটের ভাগাভাগি। তারপর ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতিসত্তার দাবিকে সামনে রেখে জঙ্গলমহলে কুড়মি প্রার্থীরা নির্দল হিসেবে প্রার্থী হয়ে কয়েকটি আসনে জেতেনও। ঝাড়গ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে অশান্তি হয়। তখন কুড়মি নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুরুলিয়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোট এলে আদিবাসী ও মাহাতোদের মধ্যে অশান্তি লাগাবেন না। কারণ অনেক মাহাতোও আছেন যাঁরা আদিবাসী।’
এছাড়া কুড়মিদের জনজাতি তালিকাভুক্ত করতে বিরোধিতা করছে নানা জনজাতি সংগঠন। সেখানে ঝাড়গ্রামে এসে কুড়মি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নীরব ছিলেন। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম ল💟োকসভা আসনে ১১ হাজার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস হেরেছিল। তবে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দুলাল মুর্মু দাবি করেন, ‘কুড়মি উন্নয়ন পর্ষদের ‘কুড়মি ভবন’ মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। কুড়মিরা সভাতেও ছিলেন।’