চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ৪২ চিকিৎসককে বদলির নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণীকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘট𓂃নার জেরে চিকিৎসকরা যখন আন্দোলনে নেমেছেন, সেই আবহেই রাজ্য সরকারের তরফে বদলির নির্দেশিকা জারি করা হওয়ায় তুমুল বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই বিতর্কের আবহেই রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন যে চিকিৎসকদের রুটিন বদলি করা হয়েছিল। যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল দু'মাস আগে থেকেই। তারপরও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। কারণ এখন বিতর্ক চাই না। এখন প্রয়োজন পরিষেবার।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে রাজ্যের স্বাღস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, অনেকদিন আগেই ওই চিকিৎসকদের বদলির কাগজে স্বাক্ষর করা হয়েছিল। কিন্তু পুরোপুরি বিষয়টি খতিয়ে দেখা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এত বড় ইস্যু হয়ে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ৪২ জন চিকিৎসকের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যসচিব সেই কথা বললেও শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বদলির নির্দে♚শিকা প্রকাশ করতেই ‘প্রতিশোধের’ অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ করা যায় যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ‘প্রতিহিংসামূলক আচরণ’ করতেই ৪২ জনকে বদলি করে দিয়েছে মমতা সরকার। বিজেপির অভিযোগ, ‘শাস্তিমূলক পদক্ষেপ’ করা হল চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে মোদীর হস্তক্ষেপের আর্জি
তারইমধ্যে চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘটের মধ্যে আইএমএয়ের তরফে জানানো হয়েছে, হাসপাতালকে 'সেফ জোন' হিসেবে ঘোষণা করা হোক। বিমানবন্দরে যেরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, হাসপাꦜতালেও সেরকম সুরক্ষার বন্দোবস্ত করতে হবে।
‘ভারতের চিকিৎসকদের ৬০ শতাংশই হলেন মহিলা’
সেইসঙ্গে স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার মঞ্চ থেকে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে যে বার্তা দিয়েছেন মোদী, তারও প্রশংসা করেছে আইএমএ। চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, ‘এই পর্যায়ে হস্তক্ষেপের জন্য আপনার কাছে আবেদন করছ😼ি আমরা। তার ফলে শুধু মহিলা চিকিৎসকরা নন, কর্মরত প্রত্যেক মহিলা আত্মবিশ্বাস পাবেন।’ সেইসঙꦯ্গে আইএমএয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের চিকিৎসকদের ৬০ শতাংশই হলেন মহিলা।