সম্প্রতি রাজ্যে বাড়তে থাকা মাওবাদী কার্যকলাপ ঠেকাতে পুলিশ–প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্র❀ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাওবাদীদের পরাস্ত করতে প্রায় ১০ বছর আগে রাজ্যে কাউন্টার ইনসারজেন্সি ফোর্স (সিআইএফ) গঠন করা হয়। সেটিকে ফের সক্রিয় করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সকেও (এসটিএফ) সংগᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚঠন আরও মজবুত করতে বলা হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধ✱রে জঙ্গলমহলে ঘটতে থাকা কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে মাওবাদীদের কতটা যোগ আছে তা জানতে চেয়ে রাজ্য ডিজিপি–র কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য🧔োপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ডিজিপি বেলপাহাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন। তাঁকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। আমি জানতে চাই, এ সব ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে।’
১৫ অগস্ট ভুলাভেদা জঙ্গলের আশপাশে বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে ডজনখানেক হাতে–লেখা মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার করে পুলিশ। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে 𒊎লেখা ওই পোস্টারগুলিতে স্বাধীনতা দিবসকে ‘কালা দিবস’ হিসেবে উদ্যাপন করতে বলা হয়। ৪ সেপ্টেম্বর ফের বেলপাহাড়ি এলাকায় কিছু হাতে–লেখা মাওবাদী পোস্টার পাওয়া যা🐟য়।
৫ সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি–সহ রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলেরℱ বেশ কিছু জেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি বীরেন্দ্র। তিনি কয়েকজন আইপিএস অফিসারের সঙ্গে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার ব্যাপারে বৈঠকও করেন। উল্লেখ্য, ২০১১ সাল পর্যন্ত ঝাড়গ্রামই অবৈধ কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মাওবাদী)–র সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত ধ্বংসাত্মক কিছু কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলছিলেন, ‘কিছু লোক ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে খুন করার চেষ্টা করেছে। সেটা যদি ভিডিওটি না দেখতাম তবে আমরা জানতেও পারতাম না।’ উল্লেখ্য, ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে যখন মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেনজি পুলিশের গুলিতে নিহত হন তখন কাউন্টার ইনসারজেন্সি ফোর্সের (স🐈িআইএফ) সুপার ছিলেন মনোজ বর্মা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্পেশাল টাস্ক ফোর্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। সেটিকে আরও মজবুত করতে হবে। মাওবাদীরা যখন সক্রিয় ছিল তখন তাদের রুখতে সিআইএফ গড়ে তোলা হয়। আমি সেটিকে ফের চালু করার ব্যাপারে আইপিএস অফিসার অজয় নন্দাকে নির্দেশ দিয়েছি।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইদানিং ঘটা মাওবাদী কার্যকলাপের সব𓂃কটিই সাজানো। তারা যে দল বাঁধছে সেই খবরও ভুয়ো। কোনটা সত্যি তা খুব জলদি জানা যাবে।
উল্লেখ্য, মাওবাদীরা যে ফের সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছে সে ব্যাপারে অগস্টের প্রথম দিকে একটা আভাস দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ🎐্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।