শুভেন্দু অধিকারীর যখন মালদহের পর্যবেক্ষক ছিলেন, তখন তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছিলেন তিনি। সেই শুভেন্দুর পদত্যাগের পরই জল্পনা ছড়িয়েছিল, তাহলে কি ঘাসফুল শিবির ছাড়তে চলেছেন মৌসম বেনজির নূর? সেই গুঞ্জন অবশ্য খারিজ করে দিলেন বরকত গনি খানের পরিবারের সদস্য। স্পষ্ট জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যা🃏য় তাঁর নেত্রী।
শনিবার মালদহে সাংবাদিক বৈঠকে মৌসম জানান, ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর দলত্যাগের জল্পনা ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তুꦦ তা পুরোপুরি ভুয়ো। তাঁর কথায়, 'আমায় বদনাম করার জন্য, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ভুল বার্তা দিতে এবং মালদহে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির জন্য এটা করা হচ্ছে।' ঘটনায় বিজেপির হাতও থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেন মৌসম।
গত ২৭ নভেম্বর মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শুভেন্দু। পরদিনই কলকাতায় জরুরি ভিত্তিতে মালদহে তৃণমূল নেতৃত্বের বৈঠকে ডেকেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মৌসম-সহ জেলা কোর কমিটির তিনজন অনুপস্থিত ছিলেন। বিশেষত শুভেন্দুর সঙ্গে মৌসমের সুসম্পর্ক ছিল। তার জে🦹রে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। মৌসম অবশ্য জানিয়েছিলেন, অসুস্থতার কারণেই তিনি বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। তাতেও গুঞ্জন থামেনি।
মৌসম বলেন, ‘আমি সেই বৈঠকে যেতে পারিনি। কারণ আমার জ্বর হয়েছিল। যেহেতু আমি মিটিংয়ে যাইনি, তখন থেকেই একটাই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এটা ইচ্ছাকৃ🐠তভাবে করা হয়েছে।’ তিনি জানান, দলের কোনও পদ ছেড়ে দেওয়ার কোনও বিষয় নেই বা দলের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। ‘ষড়যন্ত্র’-এর অভিযোগ তুলে মৌসম জানান, মালদহ তৃণমূল একসঙ্গে কাজ করছে এবং আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে জেলার ১২ টি আসনেই ঘাসফুল ফুটবে।
শুভেন্দুর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক থাকলেও তাতে মমতাকে সামনে রেখেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান মৌসম। তিনি বলেন, ‘আমি যখন দলে আসি, তখন অবশ্যই শুভেন্দু অধিকারী অবজারভার ছিলেন এবং ওনার সঙ্গে আমাদের ফ্যামিলির দীর্ঘদিনের সম্পর্কও ছিল। কিন্তু আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এসেছিলাম এবং ওনার হাত ধরেই নবান্নে গিয়ে জয়েন করেছিলাম। ওনার উপর আমার আস্থা আছে। উনি আমার নে𒅌ত্রী। আমি ওনার সঙ্গী। উনি আমায় দায়িত্ব দিয়েছেন। ওনার নেতৃত্বেই আমি কাজ করছি।’