বাংলাদেশ নিয়ে বিজেপি নেতাদের সংযত মন্তব্য করার অনুরোধ করে প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার নিজের বক্তব্য মনে করিয়ে দিলীপবাবু প্রশ্ন তোলেন, গণতন্ত্রটা আপনার একার জন্য? আপ꧒নি শুধু যখন যা খুশি তাই বলতে পারেন? আমরা বলতে পারি না?
আরও পড়ুন - নার্সিং প্রবেশিকা পরীক্ষায় ছাত্রীদꦿের গোপনাঙ্গ থেকে উদ্ধার হল মোবাইল ফোন
পড়তে থাকুন - বাংলাদেশে হিন্দু কো♉তল চলছে, ১ কোটি শরণার্থী নেওয়ার জন্য তৈরি থাকুন: শুಞভেন্দু
মঙ্গলবার দুর্গাপুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওখানে ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন। ওখানে কিছু হলে এখানে চলে আসবেন। আমরা জায়গা দেব। এখন তিনি বলছেন, কেউ কিচ্ছু বলবেন না। বিশেষ করে বিজেপি নেতারা যেন কিছু না বলেন। আপনার পৈত্রিক অধিকার রয়েছে, গণতন্ত্রটা আপনার একার জন্য? আপনি শুধু যখন যা খুশি তাই বলতে পারেন? আমরা বলতে পারি না? এখানে কি এক পার্টি গণতন্ত্র চলছে? কমিউনিস্ট পার্টির লোকেরা ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল, তারাও বলছে এব্যাপারে কিছু বলা চলবে না। কেন? আপনারা রাজনীতির রুটি সেঁকে নেবেন, আর হিন্দু সমাজ যখন মার খাবেꦛ তখন সব বন্🏅ধ?’
সোমবার বাংলাদেশে সেনা শাসন কায়েমের পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবাই শান্ত থাকুন। কেউ কোনও সাম্প্রদায়িক আচরণ করবেন না। আইন হাতে তুলে নেবেন না। যারা ওখানে বিপদে পড়বে তাদের ভারত সরকার ও বাংলꦍাদেশ সরকার দেখবে। ভারত সরকার যে ভাবে বলবে আমরা সেভাবেই করব। আমি সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনুরোধ করছি দয়া করে এমন কিছু পোস্ট করবেন না যাতে কোনও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এখানে নষ্ট হয়। এটা দেশের ওপর ছেড়ে দিন। দেশে আমাদের সরকার আছে তাদের ওপর ছেড়ে দিন। আপনারা নিজেরা এমন কোনও মন্তব্য করবেন না যাতে হিংসা বা প্ররোচনা সৃষ্টি হতে পারে। সকলেই আমাদের ভাই বোন। বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে এমন কিছু লিখবেন না বা বলবেন না যাতে বাংলার শান্তি নষ্ট হতে পারে। এটা বিজেপি নেতাসহ আমি সবাইকে বলব। কারণ তারা ইতিমধ্যে কিছু পোস্ট করছে। যে পোস্ট গুলো করা উচিত না। আমি আমাদের নেতাদের বলব কেউ কোনও পোস্ট করবেন না।’
আরও পড়ুন - বিধানসভায় বেনজির সৌজন্য, বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় শুভেন্দুর প্রস্তাব মেনে নিলেಌন মমতা
যদিও গত ২১ জুলাই তৃণমূলের ‘শহি♕দ স্মরণ’ মঞ্চে শোনা গিয়েছিল অন্য সুর। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দরজায় কড়া নাড়লে আমরা আশ্রয় দেব।' কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পরই মমতার সুর কেন বদ𓃲লে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি।