বাড়ি করতে🐽 গেলে ওসিকে দিতে হবে টাকা। নইলে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হবে বাড়ির মালিককে। বীরভূমের কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আসরাফুলের বিরুদ্ধে 🗹এরকম একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ল পুলিশ সুপারের কাছে। ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে হল নবান্নকে।
কীর্ণাহার থানা এলাকার মিরাটী গ্রামের ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় বাস বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ওই গ্রামেই বাড়ি। বাড়ির দোতলা তৈরি নিয়ে বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে প্রতিবেশীর বিবাদ চলছিল। মামলা মোকদ্দমা চলায় বন্ধ ছিল নির্মাণকাজ। এর পর দুপক্ষ মিলে নিজেদের মধ্যে ব্যাপারটি মিটিয়ে নেয়। অভিযোগ, সেকথা জেনে গত ১৭ অক্টোবর রবীন্দ্রনাথবাবুকে থানায় ডেকে পাঠান ওসি শেখ আসরাফুল। এর পর বাড়ি করার জন্য বৃদ্ধের কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন তিনি। বৃদ্ধ অত টাকা দিতে পারবেন না জানালে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ওসি। শেষ পর্যন্ত রফা হয় ২০ হাজারে। অভিযোগ, গোটা দিন তাঁকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়। ১৮ অক্টোবর ১০ হাজার টাকা জোগাড় করে ওসিকে দ🔯েন তিনি। এর পর রবীন্দ্রনাথবাবুর 🐻স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। ঘটনার কথা জেনে নবান্ন থেকে বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ওই গ্রামেই সোমা দাস নামে এক মহিলা অভিযোগ করেন, বাড়ি করার আগে তাঁকেও ডেকে পাঠিয়🎶েছিলেন ওসি। তাঁর কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। শেষে ২ হাজারে রফা হয়।
সোমবার রবীন্দ্রনাথবাবু ও সুমিত্রাদেবী সিউড়ি গিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দে♊খা করে অভিযোগপত্র জমা দেন। এর পর শেখ আসরাফুলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগপত্রে সুমিত্রাদেবী দাবি করেছেন, প্রথমে থানায় ডেকে পাঠানো হলেও যেতে দেরি হওয়ায় তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে যায় সিভিক ভলান্টিয়াররা। এর পর থানায় তাঁকে মারধর করা হয়।
ঘটনার কথা𒁏 অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ওসি। তাঁর দাবি ১৪৪ ধারা অমান্য করায় বৃদ্ধকে আটক করা হয়েছিল, এতে তাঁর সম্মানহানি হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছেন। অভিযোগ যখন হয়েছে তখন তদন্ত তো হবেই। তদন্তে কী বেরোয় দেখুন। তবে অভিযুক্ত ওসিকে পদে রেখে তদন্ত কতটা নিরপেক্ষ হবে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।