পিঠে করার নাম করে গভীর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতাদের দ্বারা দিনের পর দিন নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছে, একই রকম অভিযোগ এল কোচবিহার থেকে। আর এবারে অভিযুক্ত স্বয়ং রাজ্যের মন্ত্রী। অভিযোগকারিনী দিনহাটার প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা নাগাদ পিঠে করার জন্য তাঁকে ডেকে পাঠান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ সহ তণমূল নেতারা। তৃণমূল নেতাদের দাবি মেনে অত রাতে বাড়ি থেকে বেরোতে রাজি না হওয়ায় তাঁর বাড়ি ভাঙচু💎র করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। ঘটনার সময় সেখানে পুলিশকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতা। ঘটনার কথা জানিয়ে কোচবিহারের সাহেবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের 𒆙করেছেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করে মহিলার বিরুদ্ধে পালটা দিনহাটা থানায় অপপ্রচার ও সম্মানহানির চেষ্টার অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: জবাবদিহি চেয়েছিলেন ফিরহাদ, এবার তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্🐟যার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর
নির্যাতিতা মহিলা দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের হাড়িভাঙা এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপি নেত্রী অর্পিতা নারায়ণ। এর পরই শোরগোল শুরু হয়েছে দিনহাটা জুড়ে। ভিডিয়োতে মহিলাকে অভিযোগ করতে শোনা 🙈গিয়েছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে তৃণমূলের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য ও শহর তৃণমূল সভাপতি বিশু ধরের গুন্ডারা পিঠে বানানোর নাম করে তাঁকে বাড়িতে ডাকতে যায়। তখন বাজে রাত ১২টা। মহিলা অত রাতে বাড়ি থেকে বেরোতে অস্বীকার করলে তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। একই অভিযোগ করে আরেক মহিলা জানিয়েছেন, একই রকম আরেকটি ঘটনায় তাঁ♌কে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছিল তৃণমূলের গুন্ডারা। এর পর ঘটনার কথা জানিয়ে সাহেবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।
নির্যাতিতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমাকে দিলীপ ভটচাজ, বিশু ধরের গুন্ডারা রাত ১২টায় পিঠে বানানোর জন্য তৃণমূল পার্টি অফিসে যেতে বলে।🅺 মেয়েদের কি সম্মান নেই? আপনাদের বদ মতলব রয়েছে। একথা বলতেই আমার বাড়ি ভাঙচুর শুরু করে গুন্ডাবাহিনী। ঘরের দরজা জানলা সব ভেঙেছে। টিভি আলমারি কিছুই বাদ দেয়নি। ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশ ছিল বলেই ওদের সাহসটা আরও বেড়েছে।’ স্থানীয় আরেক মহিলা আরও গুরুতর অভিযোগ করে বলেন, ‘তৃণমূলের গুন্ডারা আমাকে গভীর রাতে পিঠে বানাতে পার্টি অফিসে যেতে বলেছিল। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আ🥂মাকে বন্দুক বার করে ভয় দেখায়। বাড়ি ভাঙচুর করে।’ স্থানীয় মহিলারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন তৃণমূল নেতাদের নির্যাতনের শিকার তাঁরা। কিন্তু ভয়ে এতদিন কেউ মুখ খোলেননি। কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনার পর তাঁরা প্রকাশ্যে আসার সাহস পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার হলুদ লাইনকে থোরাই কেয়ার, নতুন কর🍎ে বসে পড়ল হকাররা
ওদিকে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ানোর বদলে বুধবার হাড়িভাঙা গ্রামে মিছিল করে মহিলা তৃণমূল। যে বিজেপি নেত্রী নির্যাতিতার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছিলেন তা꧃ঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। তৃণমূলের দাবি, উদ্দেশপ্রণোদিত ভাবে উদয়ন গুহ ও অন্য তৃণমূল নেতাদের সম্মানহানির চেষ্টা হচ্ছে।