২ বা ৩ নয়, একসঙ্গে ৫𝓡 কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন প্রসূতি। তাতে বেজায় খুশি হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। একসঙ্গে এতগুলি শিশুর জন্ম দেওয়ার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তা দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমিয়ে ছিলেন কৌতূহলী মানুষ। তবে সেই খুশি দীর্ঘস্থায়ী হল না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একে একে মৃত্যুর কোলে 𓂃ঢেলে পড়ল ৪ জন সদ্যোজাত। বর্তমানে শুধু একজন শিশুকন্যা জীবিত রয়েছে। তবে তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি রয়েছে ওই সদ্যোজাত।
আরও পড়ুন: অপুষ্টি༺জনিত কারণে শিশুর মৃত্যু, রাজনৈতিক তরজা শুরু হতেই তদন্তের নির্দেশ
জানা গিয়েছে, সোমবার ৪ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিটে। ওই প্রসূতির নাম তাহেরা বেগম। তিনি বিহারের ঠাকুরগঞ্জের বাসিন্দা। রবিবার প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় তাকে ইসলামপুর-বিহারের সীমানার আমবাগান এলাকার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি ♎করা হয়েছিল। সেখানে ৫ কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। তবে জন্মের পর থেকে শিশুদের ওজন ছিল খুবই কম। তখনই চিকিৎসকদের আশঙ্কা ছিল সবাইকে বাঁচানো সম্ভব হবে কি না। তবে সেই আশঙ্কায় সত্যি হল। পরপর চার সন্তানের মৃত্যু হল। এর ফলে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। তখন তা꧟কে সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত ওষুধ দিতে হয় চিকিৎসকদের।
উল্লেখ্য, রবিবার ৫ সন্তানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের তড়িঘড়ি ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের নিউ 💎বর্ন কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, জন্মের পর শিশু✅দের ওজন ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের মধ্যে। এরপর দুজন শিশুর মৃত্যু হয়। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুরোজ সিনহা জানান, শিশুগুলির অপুষ্টিজনিত সমস্যা ছিল। প্রত্যেকের ওজন কম ছিল। সাধারণত স্বাভাবিক নবজাতকের ওজন ২ থেকে আড়াই কেজির মধ্যে হয়। কিন্তু, ওই শিশুদের ওজন তার থেকে অনেক কম ছিল। বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। ꦰকিন্ত💞ু, বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে তাহেরা বেগম জানান, তার স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। সন্তান হওয়ার খবর শুনে তিনি রওনা দিয়েছেন। তবে তার আগেই সব শেষ হয়💧ে গেল। সন্তানদের মুখটা দেখারও সুযোগ প💛েলেন না। জানা গিয়েছে, সোমবারে মৃত চার শিশুর দেহ গ্রামের বাড়ির কাছে কবরস্থ করা হয়।