কিছুদিন আগে দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আর এবার ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের এসএআইএল। আচমকা উত্তপ্ত তরল লোহা ছ🎉িটকে পড়ায় দগ্ধ হয়ে গেলেন এক কর্মꩵী। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ঋষিরাজ দাস নামে স্টিল প্লান্টের ওই কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, ওই কর্মীর শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাকে ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের জমি থেকে উচ্ছেদ ঘিরে ধুন্ধুমার, লাঠিচার্জ, বি𝔍ক্ষোভ
জানা গিয়েছে, স্টিল প্লান্টের এসএমএস বিভাগে কর্মরত ওই কর্মী। কয়েকদিন আগে দুর❀্গাপুর স্টিল প্লান্টে হট মেটালে ঝলসে গিয়েছিলেন ৫ জন কর্মী। ফের একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে। ওই কর্মী তরল লোহা বহন করার জন্য ল্যাডেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই তার ওপর উত্তপ্ত গলিত লোহা ছিটকে পড়ে।
এই ঘটনার পরে ক্ষোভ উগরে দেন শ্রমিকরা। অন্যদিকে, এই ঘটনায় কারখানার তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। ঘটনার খ෴বর পেয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা হাসপাতালে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কর্মীকে দেখতে যান। তবে শ্রমিকরা এই ধরনের ঘটনার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। তাদের বক্তব্য, শুধু উৎপাদনের দিকে নজর রাখতে গেলে হবে না। কারখানার আধুনিকীকরণ এবং কর্মীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মী নিয়োগ করতে হবে। এদিনের দুর্ঘটনায় কর্মীদে✨র মনোবল ভেঙে পড়েছে বলেই আশঙ্কা করছে শ্রমিক সংগঠনগুলি।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সে ক্ষেত্রে ৫ জন কর্মীর উপর ছিটকে পড𒀰়েছিল উত্তপ্ত গলিত লোহা। তাদের মধ্যে ৪জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারাও এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেই ঘটনার পরে কারখানার দুজন আধিকারিককে সাসপেন্ডে করা হয়েছে। রবিবার এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে যান পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি নরে🐬ন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এছাড়াও ছিলেন সিটু নেতা সভাপতি বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে বা সাসপেন্ড করা হলেও তাতে সন্তুষ্ট নন শ্রমিকরা। তাদের বক্তব্য, এভাবে দুর্ঘটনা রোধ করা যায় না। কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ করা হচ্ছে। সময় মতো যন্ত্রাংশ মেরামত করা হচ্ছে না। যার ফলে সমস্যা হচ্ছে।