পুলিশের প্রতি অমানবিক পুলিশই - এমনই অভিযোগ উঠল। দুটি কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়ায় কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে কনস্টেবলের। এর জন্য কিডনি দাতাও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, ওসির আপত্তির কারণে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে কিডনি প্রতিস্থাপন আটকে রয়েছে। রায়গঞ্জ জেলার কর্ণজোড়া ফাঁড়ির ওসির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। ওই কনস্টেবলের নাম মনোয়ার আনসারি। বর্তমানে ডায়ালিসিসের ভরসায় কোনওভাবে বেঁচে রয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন না হলে তাঁর জীবন সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ২ লাখে কিডনি বিক্রি! বেআইনি অঙ্গ প্রতিস্থাপন চক্রে জড়িত থাকায় ধৃত ৫ বাংলাদেশি
কনস্টেবলের পরিবারের অভিযোগ, কর্ণজোড়া ফাঁড়ির ওসি সোমনাথ পাটোয়ারির অসহযোগিতার ফলেই কিডনি প্রতিস্থাপন আটকে রয়েছে। মনোয়ার কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল। কিন্তু, রাজ্য পুলিশের ডেপুটেশন রয়েছেন। অভিযোগ, ওসি কিডনি প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত এনকোয়ারি রিপোর্ট স্বাস্থ্যভবনে পাঠাচ্ছেন না। কিডনি দাতার খোঁজ আগেই মিলেছে। তিনি আদিবাসী সম্প্রদায়ের এবং অত্যন্ত গরিব। তবে ওসি বারবার ডোনার বদলের চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।
ওসির দাবি, কিডনি দাতা অত্যন্ত গরিব হওয়ায় সে ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া, পুলিশ কনস্টেবলের পরিবারও এখনও সব নথি দিতে পারেননি। তবে ডোনার বদলের চাপ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি।
জানা গিয়েছে, মালদার রতুয়ার বাসিন্দা মনোয়ার আনসারি। তিনি ২০১৭ সালে কলকাতা পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ভাঙড় ডিভিশনের পোলেরহাট থানায় ছিলেন। গত বছর থেকে তাঁর শারীরিক অসুস্থতা ধরা পড়ে। তখনই চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তাঁর দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় প্রতি সপ্তাহে ডায়ালিসিস এবং খাওয়া দাওয়ায় বিধিনিষেধ থাকায় তিনি নিজের জেলা মালদায় বদলির আবেদন জানান।