ঘড়ির কাঁটা তখন পেরিয়েছে মধ্যরাত। গভীর রাতের কলকাতায় তখন শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনিতে মহিলারা রাত দখলের উদ্দেশে হাঁটছেন। হাঁটছে তখন আম জনতা। যে জনতার কোনও ভেদাভেদ ছিল না। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অন্দরে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে, সেই রাতে গর্জে উঠেছিল গোটা শহর। এদিকে, আরজি কর হাসপাতালেও শুরু হয়েছিল প্রতিবাদ সভা। সেই রাতে আরজি কর-এ আচমকা একদল দুর্বৃত্ত ঢুকে ভাঙচুর চালায়। সেই রাতে আহত হয়েছেন বহু পুলিশকর্মী। বাগুইআটিতে✨ পুলিশকর্মী শম্পা ছিলেন কর্তব্যরত। তিনি সেখানে মিছিল থেকে আসা এক ইটে আহত হন। কলকাতা প🍸ুলিশের তরফে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে প্রশ্ন তোলা হয়, ‘সেই রাত কি শম্পারও ছিল না?’
যে রাতে মহিলারা রাতের দখল নিতে শুরু করেছিলেন, সেই রাতে শহরের নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্তব্য পালন করছিলেন ম🦩হিলা পুলিশকর্মী শম্পা। আচমকা হামলার জেরে তিনি আহত হন। কীভাবে এই ঘটনা ঘটে? কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, সেই রাতে ভিড় থেকে আচমকা ইট এসে পড়ে পুলিশের দিকে। কলকাতা পুলিশের পোস্ট বলছে, সেই ইট সোজাসুজি শম্পার মুখে অসে লাগে। আহত হন তিনি। আঘাতের জেরে তিনি রক্তাক্ত হন। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় তারা ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। কলকাতা পুলিশ প্রশ্ন তুলছে, মেয়েরা যে রাতে রাত দখল করছিল, সেই রাত কি শম্পারও ছিলনা? শহরের বুকে এক মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু ও ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল বাংলা। নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যখন মহিলারা রাত দখল করতে নামলেন, তখনই আরও এক মহিলা হলেন ভয়াবহভাবে আহত, পেশায় তিনি পুলিশকর্মী। শম্পার ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন রেখেছে কলকাতা পুলিশ।
এদিকে, সেদিন ▨রাতে কি পুলিশ আঁচ করতে পারেনি এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানান মহলে। বিষয়টি নিয়ে নগরপাল জানান,'আরজি করের প্রতিবাদ আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ বলেই পুলিশের মনে হয়েছিল। কিন্তু, এইভাবে যে আন্দোলন হঠাৎ করে হিংসাত্মক হয়ে উঠবে তা পুলিশ আন্দাজ করতে পারেনি। এটাকে আমাদের ব্যর্থতা বলতে পারেন।' বুধবার রাতে আর জি কর-এ তাণ্ডবের ঘটনা নিয়ে গোটা বাংলা ফুঁসছে। হাসপাতাল📖ের মূল্যবান নানান সামগ্রী নষ্ট নিয়ে রয়েছে ক্ষোভ। এই নিয়ে আজ সাংবাদিক বৈঠক করে যাবতীয় ঘটনার কথা বর্ণনা করেন পুলিশ কমিশনার। রাতে বিভিন্ন সময়ের দুটি ভিডিয়োও দেখান নগরপাল।