জাল নোট দিয়ে মোটরসাইকেল কিনতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক যুবক। ঘটন💜া কলকাতার দক্ষিণ শহরতলি𒆙র পাটুলির। অভিযুক্ত সায়ন দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যে সাইবার কাফে থেকে সে জাল নোট ছাপিয়েছিল সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রিন্টার।
পাটুলির বাসিন্দা সাগর সাঁপুই নামে এক যুব দিন কয়েক আগে অনলাইনে একটি পুরনো মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। মোটরসাইকেলটি কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সায়ন। ৫৪ হাজার টাকায় রফা হয়। শুক্রবার মোটরসাইকেলটি নিয়ে আসে সে। একটি খামে নগদে ৫৪ হাজার টাকা সাগরকে দিয়👍েই মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে সে। এত📖েই সন্দেহ হয় মোটরসাইকেলের মালিকের। তিনি তাড়া ধরে সায়নকে ধরে ফেলেন। এর পর দেখা যায়, খামের ভিতরে রয়েছে ২৭টি ২,০০০ টাকার নোট। সবকটি নোটই ভুয়ো।
খবর দেওয়া হয় পাটুলি থানায়। পুলিশকর্মীরা এসে সায়নকে গ্রেফতার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে স𝕴ে জাল🐼 নোট দেওয়ার কথা স্বীকার করে। জানায় তাঁর বাবা পুরসভার কর্মী। সে নিজে মাধ্যমিক পাশ। সামান্য কিছু কাজ করে। কিন্তু সেই উপার্জনে দামি স্পোর্টস বাইক কেনা সম্ভব নয়। সখ মেটাতে তাই ইন্টারনেট থেকে ২,০০০ টাকার ছবি ডাউনলোড করে সে। এর পর সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে সেই ছবি প্রিন্ট করে। তার পর তা কেটে টাকার আকার দিয়ে খামে ভরে তুলে দেয় সাগর সাঁপুইয়ের হাতে।
একথা জেনে যে সাইবার ক্🥃যাফে থেকে সায়ন ২,০০০ টাকার নোটের ছবি প্রিন্🍌ট করিয়েছিল সেখানে হানা দেয় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি প্রিন্টার।
সাগরবাবু জানিয়েছেন, টাকাগুলো হাতে দিয়েই ছেলেটা মোটরসাইকেল নিয়ে পালাඣনোর চেষ্টা করে। এতেই সন্দেহ হয়। খাম খুলে দেখি, টাকাগুলো আসল টাকার মতো নয়। কাগজ অন্যরকম। কোনওটা একটু আবছা, কোনওটা আবার স্পষ্ট। আর সব থেকে বড় কথা প্রতিটি নোটের নম্বর একই। ধৃতকে জেরা করে সে এই উপায়ে অন্য কোথাও প্রতারণা করেছে কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।