শুধু ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে নয়, তারপরও টানা পাঁচদিন ধরে দেওয়া হবে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা। অর্থাৎ ১ মার্চ পর্যন্ত চলবে ১০০ দিনের কাজ করেও যাঁরা বঞ্চিত তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কর্মসূচি🐭। আর তাই ২৬ ফেব্রুয়ারি কোনও ন্যায্য জবকার্ড হোল্ডার প্রাপকের অ্যাকাউন্টে টাকা ন✱া ঢুকলে তিনি বিচলিত হবেন না। এই বিষয়ে শুক্রবার সব জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে সংশ্লিষ্ট সকলকে এই ব্যাপারে সচেতন করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। এই বিষয়ে নবান্নে বৈঠক হয় ভার্চুয়ালি।
এদিকে সামনে লোকসভা নির্বাচন। যদিও নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে রাজ্যের বলে উঠল অভিযোগ। সেই টাকা রাজ্য সরকার দিয়ে দিলে বড় একটা প্রভাব পড়বে লোকসভা নির্বাচনে। রাজ্য প্রশাসনের এক অফিসার জানান, অনেকে ভাবছেন ২৬ ফেব্রুয়ারি সকলের অ্যাকাউন্টেই টা🃏কা ঢুকবে। বিষয়টা কিন্তু তেমন নয়। ওইদিন বেশিরভাগ মানুষের অ্যাকাউন্টেই টাকা পৌঁছবে ঠিকই। আর যাঁদের বাকি থাকবে তাঁদের পরবর্তী পাঁচদিনের মধ্যেই তাঁরা সেই টাকা পাবেন।
আরও পড়ুন: এবার বেসাল্ট ไখনির জন্য ডাকা হবে গ্লোবাল টেন্ডার, দেউ🎐চা পাঁচামি নিয়ে মন্তব্য অরূপের
অন্যদিকে বঞ্চিতরা একশো দিনের টাকা পেলেন কি না সেটা জানার জন্য ১ মার্চ থেকে বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করা হবে। সেখানে সক্রিয় থাকবেন দেড় হাজার কর্মী। আর জবকার্ড হোল্ডারদের ফোন করে তাঁরা জানবেন, ‘আপনি ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা পেয়েছেন তো?’ বঞ্চিতদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে কি না সেটা জানতেই এমন পদক্ষেপ। তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা ভার্চুয়াল বৈঠকে বলেন, ‘একইদিনে ২৬ ফেব্রুয়ারি সব শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা নাও ঢুকতে পারে। তবে ধাপে ধাপে ১ মার্চের মধ্যে মজুরির টাকা ঢুকে যাবে।’ এটা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হোক চাইছেন না 𝄹মুখ্যসচিব। তাই ভার্চুয়াল বৈঠক।
এছাড়া গরিব মানুষের 🅺বকেয়া টাকা উদ্ধারের জন্য রেড রোডে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই ঘোষণা করেছিলেন, কেন্দ্রের আটকে রাখা টাকা দেবে র🎃াজ্য সরকারই। রাজ্য বাজেটেও বিধানসভায় সেই কথা শোনা যায়। এবার পাঁচদিন ধরে দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। আর এই বৈঠকে ডেঙ্গি নিয়েও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। জল জমা এড়াতে এখনই খালবিল পরিষ্কার রাখা থেকে শুরু করে কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশনে জোর দেন মুখ্যসচিব। জেলা প্রশাসনের অফিসারদের পাশাপাশি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য, পুর এবং পঞ্চায়েত–সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরের সচিবরা।