একশো দিনের কাজের টাকা দেবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার এই টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। এই টাকা দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই টাকা দিতে টাস্ক ফোর্স গঠন করল রাজ্য সরকার। আগ🦩ামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই গঠন করা হয়েছে এই টাস্ক ফোর্স। এই টাস্ক ফোর্সের মাথায় রয়েছেন পঞ্চায়েত দফতরের সচিব পি উলগানথন। তাঁর সঙ্গে ওই কমিটিতে রয়েছেন আরও তিন আইএএস অফিসার। সূত্রের খবর, মোট আটজন সরকারি অফিসার এই টাস্ক ফোর্সে কাজ করবেন।
এদিকে আর পাঁচদিন পর থেকে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ২১ লক্ষ শ্রমিকের বকেয়া টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠাতে শুরু করবে নবান্ন। এই টাকা যেন দু’বার একজনের কাছে না যায়। কোনও জবকার্ড হোল্ডার যেন অভিযোগ করতে না পারেন যে টাকা পেলেন না। আর ভুয়ো কেউ যেন টাকা না পায় তাই এই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, টাকা দেওয়ার কাজ নির্বিঘ্নে করতেই আজ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। গ্রামবাংলার মোট ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার লাখ মানুষ এই টাকা পাবেন। এবার সেই টাকা মসৃণভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকাতে টাস্ক ফোর্স গঠন করল নবান্ন। কেন্দ্রীয় সরকার না দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের কোষাগার থেকে তাঁদের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্য বাজেটে সেটা ঘোষণা🌼 করা হয়েছে।
অন্যদিকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে ১০০ দিনের বকেয়া মজুরি নিয়ে বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন বলেন, ‘২১ লক্ষ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২১ ফেব্রুয়ারি বকেয়া মজুরির টাকা পৌঁছে যাবে।’ কিন্তু পরে জবকার্ড হোল্ডারদের সংখ্যা বাড়ায় তারিখ পরিবর্তন হয়। নবান্নের উদ্বেগের কারণ, এই টাকার বন্টন নিয়ে যেন কোনও অনিয়মের অভিযোগ না উঠে আসে। ভুয়ো শ্রমিকের নামে থাকা অ্যাকাউন্টে যেন টাকা না যায়। আবার কারও খাতায়ও দু’বার পেমেন্ট না হয়ে যায়। তাই এই টাস্ক ফোর্স গঠন করে সবদিক সঠিকভাবে মেটাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের♔ প্রাক্কালে রাজ্য প্রশাসনে রদবদল, বদলি হয়েছেন একাধিক আমলা
এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, বকেয়া টাকার দাবিতে তাঁর এবং দলের আন্দোলন চলবে। সেই তালিকায়—১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে রয়েছে আবাস যোজনা, সড়ক যোজনাও। তিনি বলে💟ছেন, ‘লড়াই তো হবেই। লড়াই তো চলবেই। খেলা তো হবেই। আপনাদের টাকা আমরাই দেব। মানুষের বকেয়া মজুরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আমরাই পাঠিয়ে দেব।’ সেই কাজই এবার শুরু করে দিল নবান্ন। বকেয়া মজুরি এখন রাজ্য দিয়ে দিচ্ছে। আগামী দিনে কেন্দ্রীয় সর𝔍কার মজুরি বাবদ টাকা রিলিজ করলে সেই টাকা রাজ্যের কোষাগারে যাবে। তখন মজুরি দেওয়ার হিসাব চাইতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। আর গরমিল হলে আবার কেন্দ্রের বরাদ্দ আটকে যেতে পারে। তাই সাবধানী পদক্ষেপ এই টাস্কফোর্স।