আগামী বছরের জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। এই উপলক্ষে অক্টোবর মাস জুড়ে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। তাতে এখনও পর্যন্ত ১৩০০টি মতো আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু, লক্ষ্যনীয় বিষয় হল এবার বইমেলার জন্য বাংলাদেশের কোনও প্রকাশনা সংস্থার তরফে 💙এখনও পর্যন্ত কোনও আবেদনপত্র আসেনি। এমনকী বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকেও কোনও আবেদনপত্র আসেনি পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ডের কাছ𝓡ে। গিল্ড সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কথা মতোই অগ্নিকাণ্ডের মাত্র ৫ দিন পর ক⛄ীভাবে ৯৭-এ বইমেলা শুরু করে🦄ন বুদ্ধদেব?
গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পরেই আওয়ামী লিগ সরকারের পতন ঘটে। তারপরে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয় বাংলাদেশে। সংখ্যালঘুদের উপর নেমে আসে🌞 অত্যাচার। বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে অন্তর্বতী সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ার কারণেই দেশটি থেকে কোনও আবেদন জমা পড়েনি বলেই মনে করছেন অনেকেই। এই অবস্থায় বাংলাদেশের প্রকাশনা সংস্থা বা সরকারের তরফে কোনও আবেদন না আসায় এবার কি বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন থাকছে না, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে অবশ্য গিল্ড কর্তাদের বক্তব্য, বাংলাদেশের 🙈তরফে আগ্রহ না দেখানোর কারণেই আবেদন আসেনি। পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ডের কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য যে সমস্ত সংস্থা ইচ্ছুক তারা আবেদন করেছেন। তাতে বাংলাদেশ থেকে কোনও আবেদন আসেনি। তবে তাদের কাছ থেকে চিঠি এলে তা কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছে তা পাঠানো হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, গিল্ডের অন্য এক কর্তা জানান, এখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি আলাদা। সেই কারণে হয়তো এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের হাই🉐কমিশনের কাছ থেকে কোনও চিঠি ♒গিল্ডের কাছে আসেনি। তবে চিঠি না এলে বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন হবে কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, এবারের বইমেলা শুরু হচ্ছে আগামী ২০২৫ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে। ৪৮ তম আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন হবে ২৮ জানুয়ারি এবং তা চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ইতিমধ্যে এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলে পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স এন্ড গিল্ড। গত ৩ অক্টোবর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশক, পুস্তক বিক্রেতা, লিটল ম্যাগাজিন বিভাগে অংশগ্রহণের জন্য নিজস্ব লেটার হেডে আগ্রহীদের দরখাস্ত করতে বলা হয়েছিল। দরখাস্ত জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ অক্টোবর। গতবারের মতো এবারও ১০৫০ টির আশেপাশে স্টল থাকবে বইমেলায়। সেই জায়গায় আবেদন পড়েছে ১৩০০টি।