আজ, তৃণমূল কংগ্রেস🍸ের একুশে জুলাই। কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন শহর কলকাতার ধর্মতলার প্রাণকেন্দ্রে। আর এই হাইভোল্টেজ সমাবেশ হচ্ছে ২০২৪ সালের লোক꧑সভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পর। একই মঞ্চে এদিন দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অখিলেশ যাদবকে। এখান থেকেই মানুষকে বার্তা দিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। শহিদ মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেন অখিলেশ যাদব। বিরোধী শিবিরের দুই বড় শরিক আগামী দিনে হাত ধরাধরি করেই চলবে সেটা একুশের মঞ্চ থেকে বুঝিয়ে দিলেন অখিলেশ যাদব–মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নয়াদিল্লিতে যে সরকার গড়ে উঠেছে তা বেশিদিন টিকবে না বলেও সওয়াল করেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো। বিমানবন্দর থেকে অখিলেশ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান। সেখান থেকে সভাস্থলে একসঙ্গে যান দু’জনে। তারপর অখিলেশ বলেন, ‘আমরা, আপনারা নেতিবাচক রাজনীতি করি না। ইতিবাচক রাজনীতি করি। মানুষের জীব💜নে বদল আসবে শীঘ্রই। আমাদের একজোট হতে হবে। বদল আনতে হবে। কর্মীদের বলতে চাই, আপনাদের নেতা অনেক বড় নেতা। তিনি লড়াই করে নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এই দলকে এখানে পৌঁছেছেন। আরও দূরে যেতে হবে। আপনারা পাশে থাকবেন। আগামী লড়াইয়ে আমরাও আপনাদের পাশে থাকব।’
অখিলেশের বক্তব্যের শুরুর আগে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘গোটা দেশে বিজেপির যে পরাজয় হয়েছে, সেটার কৃতিত্ব দু’জনের। এক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই, অখিলেশ যাদব।’ অখিলেশ যাদব মঞ্চে এসে অভিষেকের সঙ্গে করমর্দন করেন। তারপর তাঁর বক্তব্য, ‘দিল্লিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা মানুষের ভাল চান না। এরা অন্যের প্রাণ নেন, কিন্তু দেন না। তা ধরে রাখার জন্য শহিদ ধার নেন। অন্যদের মহাপুরুষকে নিজেদের বলে দাবি করেন। যখন জনতা জেগে ওঠে তখন তাদের মিথ্যা প্রচার ধাক্কা খায়। তাই দিল্লির সরকার শীঘ্রই পড়ে যাবে। যারা দিল্লিতে বসে আছে তারা বা🀅রাবার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু আপনারা দিদ🗹ির পাশে থাকলে এই লড়াইয়ে জয় হবেই।’
আরও পড়ুন: 🐭‘উত্তরবঙ্গের সব আসন ২০২৬ নির্বাচনে জিততে হবে’, একুশের মঞ্চ থেকে ব♔ার্তা জগদীশের
এছাড়া এনডিএ সরকার যে পড়ে যাবে সেটা ভবিষ্যদ্বাণী করে দেন অখিলেশ। আর তিনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকবেন সেটাও উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, ‘যারা কিছুদিনের জন্য মসনদ দখল করেছে, তারা আর কিছুদিনেরই অতিথি। যারা দিল্লিতে সরকার গড়েছে, তাঁদের সরকার ভেঙে পড়বে। আপনাদের আমাদের জন্য খুশির খবর আসতে চলেছে। এই সরকার বেশিদিন টিকবে না। দিল্লির এই ভীতু সরকার, দুর্নীতির সরকার শ𒁏ীঘ্রই পড়ে যাবে। দেশ জেগে উঠেছে। এই ধরণের নেতিবাচক শক্তির অবসান ঘটাবে তারা। বাংলায় বিজেপিকে আপনারা হারিয়ে দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের মানুষও তাই করেছে। এরা আসলে দিল্লিতে কিছুদিনের অতিথি।🌱 দিল্লিতে সরকারের পতন হবে। দেখব আমরা।’