কোভিড পরিস্থিতিতেও রাজ্যের পাখির চোখ কর্মসংস্থানই। প্রশাসনিক বৈঠকে সে ব্যাপারে আশার আলো দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ঘোষণা করলেন, আগামী তিন বছরে ৩৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। যার মধ্যে ১৫ লক্ষই ক্ষুদ্র, ছোট–মাঝারি শিল্পে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে চাকরি পাবেন ৫ লক্ষ বেকার যুবক। এছাড়া হ্যান্ডলুম এবং অন্যান্য সেক্টরে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গত ৯ বছরে রাজ্যে মোট ২৯ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। সারা দেশে যখন কাজের জন্য হাহাকার, তখন পশ্চিমবঙ্গে লক্ষ লক্ষ যু♛বক–যুবতী কাজ পেয়েছেন।
শীঘ্রই নিউটাউনে ২০০ এꦛকর জমিতে প্রস্তাবিত সিলিকন ভ্যালির কাজ খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনেও যাবেন তিনি। প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে না পারায় বৈঠক থেকে দুর্গাপুর পুরসভার মেয়রকেও সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া হিসেবে আগামী তিন বছরে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে পাঁচ লক্ষ, কৃষি–বাণিজ্যে ১০ লক্ষ, মাটি সৃষ্টি প্রকল্পে তিন লক্ষ ও হস্তশিল্পে দু’লক্ষ কাজের ব্যবস্থা হবে। বাকি কাজের ব্যবস্থা হবে ছোট ও মাঝারি শিল্পে। আরও বাড়বে সরকারি চাকরি।
লক্ষ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচন। তাই আগামী কয়েক মাসে সরকারি কাজে গতি আনাই লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই দুর্গোৎসব মিটতেই তড়িঘড়ি প্রশাসনিক বৈঠকের ডাক দেওয়া হয় নবান্নের পক্ষ থেকে। স্বনিযুক্তির ক্ষেত্রেও বেশ কয়েᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚকটি প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেগুলির মধ্যে রয়েছে সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দু’লক্ষ যুবক–যুবতীকে মোটরবাইক কেনার জন্য ঋণের বন্দোবস্ত করা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক কোটি সদস্যের তহবিলে পাঁচ হাজার টাকা করে পাঠানো, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আরও ঋণ দেওয়ার জন্য সরকার সচেষ্ট বলেও তিনি জানান।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আম✃রা রাস্তা তৈরিতে প্রথম। গত ৯ বছরে ৯ লক্ষ কিমি রাস্তা করেছি। সরকারি টাকা ঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। গ্রামীণ রাস্তায় কোনওমতেই ওভার–লোডেড ট্রাক যাবে না।’ মাটির সৃষ্টির কাজে জেলায় জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজে꧃শ পাণ্ডে বৈঠকে জানান, করোনার সময়ে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, দস্তানা ইত্যাদি তৈরি করে রাজ্যে ৪০ লক্ষ কর্মদিবস সৃষ্টি করা গিয়েছে। কঠিন আর্থিক পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের তাতে প্রচুর উপকার হয়েছে।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়েছেন পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্তারা। লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ব্যাপারে দপ্তরের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয় বলেই রিপোর্ট। আধিকারিকদের সতর্ক করার পা𝓡শাপাশি বিভিন্ন জেলায় ১০০ দিনের কাজের বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা জেলাগুলির কর্তাদের সেখানকার সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসতেও বলেছেন।