রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাতে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। তাই দুর্ঘটনা ক༺মানোর জন্য গাড়ির সিএফ (সার্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚটিফিকেট অফ ফিটনেস) করার ওপরেই জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এখনও বহু গাড়ি রয়েছে যেগুলির বছরের পর বছর ফিটনেস সার্টিফিকেট নেওয়া হয়নি। বিশেষ করে বেসরকারি বাসে এই সংখ্যাটা বেশি। তারফলে দেখা যাচ্ছে কোনও বাসের সিট ভাঙা, কোনও বাসের জানলা ঠিক নেই আবার কোনও বাসের রিসোল করা টায়ার। তা নিয়ে দিনের পর দিন যাত্রী বোঝাই করে চলেছে এই সময় বাসগুলি। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। আর সিএফ না করার ফলে পরিবহণ দফতরের ভাঁড়ারে টাকাও জমা পড়ছে না।
আরও পড়ুন: এই বহুমূল্য য💦ন্ত্র বসানো না হলে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না শহরের লক্ষাধিক গাড়িকে
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২১ অর্থবর্ষে গাড়ির বকেয়া সিএফ ছিল ১৬.৭১ কোটি টাকা। ২০২১–২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২২ কোটি টাকা আর ২০২২–২৩ অর্থবর্ষে সেই বকেয়া বেড়ে হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা। এই সংখ্যাট🍒া বকেয়া সিএফ এবং জরিমানা মিলিয়ে বেসরকারি বাস, মিনি বাস, পুলকার, ট্রাক, ছোট হাতি, স্কুল বাস এই সমস্ত গাড়িগুলির অনেক মালিকই সিএফ জমা করেনি বলে জানা যাচ্ছে। তারপর সরকার নির্দেশিকা জারি করেছে সিএফ করানোর সময় গাড়িতে লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বসাতে হবে। ফলে সেই ভয়ে অনেকে সিএফ করাতে আসছে না। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছরে বকেয়া সিএফের টাকা ৫০ কোটি হয়ে গিয়েছে। তার ওপর ট্যাক্সও জমা পড়ছে না। যার পরিমাণ প্রায় কয়েকশো কোটি টাকা। কিন্তু, সেই টাকা পাচ্ছে না পরিবহণ দফতর। নিয়ম বলছে, প্রতি ৫ বছর অন্তর ট্যাক্স জমা দিতে হয়। কিন্তু অনেক গাড়ির মালিক সেই নিয়ম মেনে ট্যাক্স জমা করছেন না। যার ফলে বকেয়া বাড়ছে। এমনকী গাড়ির দূষণ, ইন্সুরেন্সের ক্ষেত্রেও বাড়ির গাড়ির মালিকরা গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় ট্যাক্স ছাড় দেওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করছে পরিবহন দফতর।
সেক্ষেত্রে এককালীন টাকা দিলে বকেয়া ট্যাক্স মুকুব করা হতে পারে। এরকমই আলোচনা চলছে পরিবহণ দফতরে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় অভিযান চালানো হবে। সিএফ না থাকলে সে ক্ষেত্রে গাড়ি আটকানো হতে পারে। মূলত স্ক🍨ুল টাইম বা অফিস টাইমে অভিযান চালালে সমস্যা হতে পারে। তাই এই সময়ের পরেই ধরপাকড় শুরু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর। তাদের বক্তব্য, যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পদক্ষেপ করা হবে। তাছাড়া যাত্রীদের যেন অসুবিধা না হয় সে কথা মাথায় রেখেই অভিযান চালানো হবে। এ বিষয়ে একটি বেসরকারি বাস সংগঠনের বক্তব্য, তাদের সংগঠনের প্রত্যেক সদস্যকে সময়মতো সিএফ করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।